গৈরিকীকরণে ছাড় পেল না ভারতীয় রেলও। প্রথমে গেরুয়া করা হয়েছিল কোচের রঙ। এবার লাইনের স্লিপার থেকে স্টেশনও রাঙিয়ে তোলা হচ্ছে গেরুয়া রঙে। এই গেরুয়াকরণের পেছনে রাজনীতি আছে বলেই একাংশ রেলকর্মীর অভিযোগ।
বেশ কয়েক বছর আগে ইট লাল রঙের পরিবর্তে কালচে নীল রংয়ের ব্যবহার শুরু হয়।
দ্বিতীয়বার রেলমন্ত্রী হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুরন্ত-সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনে রঙের বাহার আনেন। যা যাত্রীদের মনে ধরে। কিন্তু অভিযোগ, মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক রঙের ব্যবহার।
রেল কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, গেরুয়া কেন্দ্রীয় সরকারের দলীয় পতাকার রং। এই গৈরিকীকরণের নীতি রীতিমতো মোদী সরকারের ইচ্ছাকৃত সিদ্ধান্ত৷ অবশ্য রেলকর্তাদের বক্তব্য, এই গেরুয়া রং বেশি মাত্রায় দৃশ্যমান। শীতে কুয়াশার দাপটে সিগন্যাল দেখা যায় না। সামনে স্টেশন রয়েছে এটা বুঝতে পারেন না চালকরা। তাই স্টেশন সংলগ্ন এলাকার লাইনগুলিকে রং করা হয়। যাতে চালক তা বুঝে ট্রেনের গতি কমাতে পারেন। আগে স্লিপারগুলি সাদা রং করা হত। পরে হলুদ। এখন গেরুয়া-সাদা রঙে রাঙিয়ে তোলা হচ্ছে। লাইনের নিচে স্লিপারগুলি মাঝে গেরুয়া ও দুই ধারে সাদা রং করা হচ্ছে। হাওড়া, শিয়ালদহের বহু স্টেশনে এই রঙের প্রলেপ পড়েছে।