সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার শিকার হতে হয় বাংলাকে, এ কথা বরাবরই বলে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর দিন দিন সেই বঞ্চনার পরিমাণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এবং তা সমস্ত ক্ষেত্রেই। যেমন স্কুল পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের কয়েক কোটি টাকাও আটকে রেখেছে কেন্দ্র। এফসিআইয়ের মাধ্যমে এই টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু টাকা দিতে তারা গড়িমসি করছে। শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগেই এখনও তা চালু আছে। সোমবার এমনই অভিযোগ করেছেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
তবে শুধু মিড ডে মিলই নয়, কেন্দ্রের আরেকটি বঞ্চনার কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় সড়কের বেহাল অবস্থা। কেন্দ্র কাজ করছে না। রাস্তার দু’ধারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পোস্টারও দেওয়া হয়েছে। এবার গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষকে কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা বলা হবে। জাতীয় সড়ক মেরামতের দায়িত্ব রাজ্য সরকারের নয়। আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারি না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বেহাল অবস্থার কথা জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি।’
বিজেপিকে তুলোধোনা করে জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘ওরা বাংলার সংস্কৃতি জানে না। একটাই কাজ, মমতাকে আঘাত করা।’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘দিলীপ ঘোষের জবাব আমি দিই না। ওকে নেতা বলে মনে করি না। তিনি গণধোলাইয়ের কথা বলেছেন, একবার গায়ে হাত দিয়ে দেখুনই না। সিপিএমের সঙ্গে লড়াই করে তৃণমূলের জন্ম হয়েছে। বিজেপিকে তো দল বলেই মনে করি না। ওরা বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করলে গ্রেফতার করা হবে। পুলিশ আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেবে।’