এই ম্যাচে ওলে গুনারের জন্য একটা পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষায় উতরে গেছেন ভালোভাবেই। টোটেনহামের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় দিয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ছয় ম্যাচ অপরাজিত থেকে গেল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড । অথচ এই কিছুদিন আগেও ধুঁকছিল রেড ডেভিলসরা। হোসে মরিনহোর বিদায়ের পর দায়িত্ব নেওয়া নরওয়ের এই মানুষটি এখন নিজের পদটি পাকা করার দাবি করতেই পারেন। ম্যাচ শেষে ম্যানইউ গোলরক্ষক ডি গিয়া তো বলেই দিলেন, এটাই নাকি সত্যিকারের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড! কোচ পরিবর্তনের সঙ্গে যেন বদলে গেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইডেটের পারফরম্যান্সের চেহারা।
প্রিমিয়র লিগে ক্রমশ পিছতে থাকা রেড ডেভিলসদের দায়িত্ব নেওয়ার পর নরওয়েন কোচ ইতিহাস গড়ে বসেন৷ কিংবদন্তি স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনও যেটা করে দেখাতে পারেননি, ঠিক সেটাই কের দেখালেন ইউনাইটেডের কেয়ারটেকার কোচ৷ ক্লাবের ইতিহাসে ওলে গুনারই প্রথম ম্যানেজার, যিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম পাঁচ ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে ম্যাঞ্চেস্টার৷
ওয়েম্বলিতে ম্যাচটি জমে উঠেছিল আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণের বারুদে এক ম্যাচে। বল দখলের লড়াইয়ে টটেনহাম এগিয়ে থাকলেও গোলমুখ খুলতে পারেনি পোচেত্তিনোর শিষ্যরা। গোলমুখে টটেনহামের নেওয়া ২১টি শটের মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ১১টি। অন্যদিকে ম্যানইউ গোল পায় খেলার প্রথমার্ধেই। ম্যাচের ৪৪তম মিনিটে টটেনহামের দুর্বল রক্ষণের সুযোগ নিয়ে গোল করেন রাশফোর্ড। পগবার বাড়ানো বল থেকে দুর্দান্ত শটে গোল করেন রাশফোর্ড।
দ্বিতীয়ার্ধেও ম্যানইউর রক্ষণকে ব্যস্ত রাখে টটেনহাম। কিন্তু গোলমুখ কোনোভাবেই খুলতে পারেনি টটেনহামের খেলোয়াড়েরা। তবে ম্যঞ্চেস্টারের আসল নায়ক হলেন গোলরক্ষক ডেভিড ডি’গেয়া৷ টটেনহ্যামের মুহূর্মুহূ আক্রমণ প্রতিহত করেন ইউনাইটেডের শেষ ডিফেন্স৷ কেন, ডেলে আলিদের একের পর এক দুরন্ত সব দারুণ ক্ষিপ্রতায় আটকে দেন ম্যান ইউ গোলরক্ষক৷