দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের তরফে নদীয়ার পর্যবেক্ষক হিসাবে রয়েছেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে লোকসভা ভোটের আগে নদীয়ার জমি আরও শক্ত করার লক্ষ্যে সদ্যই বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও পার্থর সঙ্গে জেলার দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নদীয়া জেলা অনুব্রতর কাছে নতুন হলেও, তাঁর কাজ করতে কোনও অসুবিধা হবে না বলে নিজেই জানালেন অনুব্রত মণ্ডল।
জানা গেছে, ১৪ জানুয়ারি নদীয়ার তেহট্টে প্রথম বুথের কর্মীদের নিয়ে মিটিং করবেন কেষ্ট। বীরভূমে তিনি যেভাবে সংগঠন সামলান, নদীয়াতেও সেই একই কায়দায় কাজ করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী দলের সকলকে চলা উচিৎ। তাই তাঁর আশীর্বাদ নিয়েই নদীয়ায় কাজ শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন অনুব্রত।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে নদীয়ার কিছু এলাকায় তৃণমূলের ফল আশানুরূপ হয়নি। জোরজুলুম করেই বিজেপি কিছু আসন কেড়ে নিয়েছে। এ কারণেই জেলার সংগঠনকে লোকসভা নির্বাচনের আগে ঢেলে সাজাতে চাইছেন মমতা। সেই লক্ষ্যেই তিনি সাংগঠনিক দায়িত্ব দিয়েছেন কয়েকজনকে। এঁরা হলেন মহুয়া মৈত্র, শঙ্কর সিং প্রমুখ। মহুয়া যদিও নদীয়া জেলার করিমপুরের বিধায়ক। তাঁকে কৃষ্ণনগর লোকসভা আসনটি দেখতে বলা হয়েছে। শঙ্কর সিং দেখবেন রানাঘাট লোকসভা আসনটি।
দায়িত্ব পাওয়ার পর নদীয়ার কয়েকজনের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা হয়েছে অনুব্রতর। আত্মবিশ্বাসী কেষ্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচন একেবারেই আলাদা। পঞ্চায়েতে বিজেপি কিছু আসন পেলেও, লোকসভায় এই জেলায় একটি আসনও পাবে না।’ দুই জেলা সামলাতে কোনও অসুবিধা হবে কি না জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘অসুবিধা আবার কি? সংগঠন তো দিদির নির্দেশে চলবে। আমরা সকলেই এক। আলাদা কিছু নেই।’ আরও একধাপ এগিয়ে তিনি বলেন, ‘গোটা বাংলায় মমতার নামে ভোট হয়। এখানেও তাই হবে।’