থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয় দিয়ে এশিয়ান কাপ শুরু করলেও সংযুক্ত আরবআমিরশাহীর কাছে ০-২ গোলে হার মানলেন সুলীল ছেত্রীরা৷ সুযোগের সদব্যবহার করতে না পারার মাশুল দিল ভারত। এশিয়া কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে ০-২ ব্যবধানে হেরে যাওয়ার কারণ আর কিছুই নয়, একের পর এক সুযোগ নষ্ট। হারলেও দারুণ ফুটবল উপহার দিল স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের ছেলেরা৷ ভারতের আক্রমণভাগকে সামলাতে হিমশিম খায় আরব আমিরশাহীর ডিফেন্স৷ কিন্তু পাঁচ-পাঁচটি সুযোগ কাজে লাগাতে পারল না ছেত্রী-জেজেরা৷ বরং বলা ভালো ভাগ্যের কাছে হার মানল ভারত৷
দুই অর্ধে ভারত একটি করে গোল হজম করে৷ তবে দ্বিতীয়ার্ধের তুলনায় প্রথমার্ধে ভালো ফুটবল খেলে ভারতীয় খেলোয়াড়রা৷ আবু ধাবির জায়েদ স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেন ছেত্রীরা৷ প্রথম পাঁচ মিনিটের পর থেকে প্রতিপক্ষের ডিফেন্সকে চাপে রাখতে শুরু করে ‘মেন ইন ব্লু’র ফরোয়ার্ড৷ ম্যাচের প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যে আমিরশাহীর বিরুদ্ধে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল ভারতের৷ কিন্তু আমিরশাহী দুরন্ত গোল কিপিংয়ে তা সম্ভব হয়নি৷
প্রথমার্ধে একের পর এক সুযোগ তৈরি করছিল ভারত। ফরোয়ার্ড আশিক কুরুনিয়ান একের পর এক আক্রমণ তুলে এনে আয়োজক দল আরব আমিরশাহীর ডিফেন্সে বারবার আতঙ্ক তৈরি করছিলেন। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। এরপর অনিরুদ্ধ থাপার কর্নার থেকে প্রায় গোলের মুখে পৌঁছে গিয়েছিলেন সন্দেশ ঝিনগন। তবু, গোলের মুখ খুলতে পারেনি ভারত।
অন্যদিকে, আরব আমিরশাহীর খেলা ছিল মূলত কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর। ঝটিতি আক্রমণ ফিরিয়ে এনে ভারতের উপর চাপ সৃষ্টি করছিলেন তাঁরা। সেই আক্রণের ঝাঁঝেই ৪১ মিনিটে গোল করেন খাফলান। এরপরেই বাড়ে আক্রমণের তীব্রতা। প্রথম অর্ধের শেষ কয়েক মিনিটে ভারতের গোলমুখে একের পর এক আক্রমণ আছড়ে পড়তে থাকে। দ্বিতীয়ার্ধে ভারত পাল্টা আক্রমণে গেলেও লাভ হয়নি। সুবিধাজনক অবস্থান থেকে ফ্রি কিকে গোল করতে ব্যর্থ হন সুনীল ছেত্রী ও জেজে। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে শেষ গোলটি করে ভারতের জয়ের আশায় শেষ পেরেক পুঁতে দেন আলি আহমেদ।
এই জয়ের ফলে এ-গ্রুপে ভারতকে সরিয়ে শীর্ষে উঠে এল সংযুক্ত আরবআমিরশাহী৷ প্রথম ম্যাচে বাহরিনের বিরুদ্ধে ড্র করায় তাদের পয়েন্ট চার৷ আর ভারত তিন পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে৷ ছেত্রীদের পরের ম্যাচ বাহরিনের বিরুদ্ধে৷ এর আগে ১৯৮৪ সালে এশিয়ান কাপে ভারতকে ২-০ হারিয়ে ছিল আমিরশাহী৷