বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন, যে দল যেখানে বেশি শক্তিশালী সেই দলই সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক। তাহলেই বিজেপিকে হারানো অনেক সহজ হয়ে যাবে। অর্থাৎ একের বিরুদ্ধে এক ফর্মুলা। তাই জল্পনা ছিলই, এবার মমতার দেখানো সেই পথে হেঁটেই ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে জোট বাঁধতে চলেছে উত্তরপ্রদেশের দুই শক্তিশালী দল সপা-বসপা। শোনা যাচ্ছে, সেই ঘোষণা হতে পারে শনিবারই।
রাজধানীর বুকে একপ্রস্থ কথা হওয়ার পর এবার নজরে মায়াবতী ও অখিলেশ সিং যাদবের যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন৷ আগামীকাল লখনউয়ের এক পাঁচতারা হোটেলেই হবে সেই যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন৷ সেখান থেকেই এই দুই নেতৃত্ব আসন্ন লোকসভায় জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে৷
মাস খানেক আগে থেকেই খবর ছিল আগামী লোকসভা নির্বাচনে জোট বাঁধছে সপা ও বসপা। তবে একসময় মনে করা হচ্ছিল, অখিলেশ-মায়াবতী জোটে থাকবে কংগ্রেস। কিন্তু কংগ্রেস সঙ্গে থাকলে রাজ্যের নিম্নবর্গের ভোট খোয়াতে হতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের৷ ফলে আপাতত কংগ্রেসকে এড়িয়েই একসঙ্গে লড়ে যোগীর রাজ্য থেকে পদ্মফুল উপড়ে ফেলতে মরিয়া বুয়া-বাবুয়া।
সূত্রের খবর, বুয়া-বাবুয়ার এই জোটে থাকছে রাষ্ট্রীয় লোকদল। ঠিক হয়েছে রাজ্যে সমান সংখ্যক আসনে লড়াই করবে সপা ও বসপা। তবে আপাতত হাতের দিকে না ঘেঁষলেও পরে অবশ্য তাদের সমর্থন করতেই পারে তারা৷ খবর, ভোটের আগে নয়, প্রয়োজনে ভোটের পরে কংগ্রেস সরকার গড়ার পরিস্থিতিতে পৌঁছলে তাকে সমর্থন করা হবে৷ উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছে মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানের কথা৷ জানা গেছে, সোনিয়ার রায়বেরেলি ও রাহুলের আমেঠিতে প্রার্থী দেবে না জোট।
প্রসঙ্গত, ২০১৪-এর লোকসভায় ৮০ আসনের উত্তরপ্রদেশে মোদী ম্যাজিকে কাদায় পড়েছিল হাতি৷ চাকা ঘোরেনি সাইকেলেরও৷ শেষমেশ সপা ৫টি আসন জিতলেও শূন্য হাতেই থাকতে হয় বসপাকে৷ পরে বিধানসভা ভোটেও আলাদা লড়ে পদ্ম শিবিরের বিরুদ্ধে সাফল্য আসেনি মায়া বা অখিলেশের৷ তবে ফুলপুর ও গোরক্ষপুরে উপনির্বাচনে বিজেপিকে গোহারা হারানোর পরই পাকাপাকি ভাবে জোট বাঁধার সিদ্ধান্ত নেন উজ্জীবিত বুয়া-বাবুয়া।
এদিকে, অবৈধ খনি কেলেঙ্কারিতে সম্ভবত সিবিআই জেরা করতে পারে অখিলেশকে। সে প্রসঙ্গে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘সমাজবাদী পার্টি রাজ্যের বেশিরভাগ আসনে জয়ের কথা ভাবছে। যারা আমাদের থামিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছে তারাই সিবিআইকে কাজে লাগানোর চিন্তা করছে।’