প্রবাদেই আছে ‘মাছে ভাতে বাঙালি’। ভাতের পাতে এক টুকরো মাছ না হলে যেন খাওয়াটাই সম্পূর্ণ হয় না। পাহাড় হোক বা সমুদ্র মাছ-ভাতের খোঁজ বাঙালি সবসময়ে করে। বাঙালির এহেন মৎস্যপ্রীতিকে আরও জোরদার করতে রাজ্যের মৎস্য দফতরের পক্ষ থেকে আজ থেকে নলবন ফুড পার্কে শুরু হচ্ছে মৎস্য মেলা। চলবে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত।
গত কয়েক বছরের সঙ্গে এবারের মেলার কিছু পার্থক্য রয়েছে। বিগত বছরগুলিতে মূলত বাঙালিকে নতুন মাছের স্বাদ দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল কিন্তু এবার অন্য পথে হাঁটছে দফতর। আধুনিক প্রজন্মের কাছে বাংলার ঐতিহ্যশালী রান্নার পদ পৌঁছে দেওয়াই এবার মেলার মূল লক্ষ্য। এর জন্য ইলিশ-চিংড়ির সঙ্গে কই, পার্শে, মৌরলা মাছের নানা রকম প্রাচীন পদ থাকবে এই মেলায়।
তিন দিন ব্যাপী এই মেলায় পাওয়া যাবে থালি এবং নিজের পছন্দ অনুযায়ী প্লেটও। পাওয়া যাবে মাছের মাথা দিয়ে সোনামুগের ডাল, চিংড়ি দিয়ে পটলের দোলমা, পিঁয়াজকলি দিয়ে ট্যাংরা, পুঁটি-চাপিলা-মৌরলা ভাজা, ফুলকপি-চিংড়ি কালিয়া, ভেটকি-ফুলকপি-বড়ি দিয়ে ঝোল, দই কাতলা, সর্ষে তেলাপিয়া ইত্যাদির মত লোভনীয় পদের সম্ভার থাকছে এই মেলায়। দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ২৫০-৭০০ টাকার মধ্যে প্রায় ১১ রকমের থালির ব্যবস্থা করা হয়েছে, থালিগুলিতে মিলবে অন্তত ৭ থেকে ৮ রকমের মাছের পদ।
শুধু প্রাচীন পদই নয়, থাকছে মাছের আধুনিক বিভিন্ন পদও। হট গার্লিক ফিশ, চিলি প্রন, ফিশ মোমো, চিংড়ি তন্দুর, ফিশ কাবাব ইত্যাদির মত খাবার। এর সঙ্গেই বয়স্কদের কথা মাথায় রেখে থাকছে মোচা-চিংড়ির চপ, তপসে ফ্রাই, গুগলির চপ, লটে ফ্রাই ইত্যাদির সম্ভার। শীতের রোদ গায়ে মেখে এবার যে সকলে কবজি ডুবিয়ে মাছ খেতে চলেছেন এ বিষয়ে আশাবাদী মৎস্য দফতর।