বইপ্রেমীদের কাছে কলকাতা বইমেলা শুধু মেলা নয়, বইপুজো বলা যেতে পারে। সারাবছর ধরে অপেক্ষা চলে বই নিয়ে আবেগের এই উৎসবের জন্যে। গতবারের মতো এবারও বিধাননগরের সেন্ট্রাল পার্ক মেলা প্রাঙ্গনে হতে চলেছে কলকাতা বইমেলা৷ ২০১৮ সালে ৩১ জানুয়ারি শুরু হয় আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা৷ এবছর একদিন আগে অর্থাৎ ৩০ জানুয়ারি বইমেলা শুরু হবে বলে জানায় গিল্ড৷ কিন্তু শেষ মুহূর্তে দিনটি পিছিয়ে দেওয়া হয়৷ ৩০ জানুয়ারির পরিবর্তে ৩১ জানুয়ারি হবে কলকাতা বইমেলার উদ্বোধন৷ অপরদিকে ১০ ফেব্রুয়ারি বইমেলা শেষ হওয়ার কথা ছিল৷ সেটিও একদিন পিছিয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি করা হয়েছে৷
১৯ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশে আসা প্রচুর মানুষের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা এই মেলার মাঠে করা হয়েছে৷ তাই মাঠ পরিস্কার পরিচর্যা করতেও কিছুটা সময় ব্যয় হবে৷ যেহেতু আন্তর্জাতিক মানের বইমেলা তাই বইমেলা আয়োজনে কোনও ক্রুটি রাখতে চাইছেন না আয়োজকরা৷ আবার বইমেলা উপলক্ষ্যে দেশি-বিদেশি প্রচুর গণমান্য ব্যক্তি আসেন৷ তারা সকলেই জানেন ৩১ জানুয়ারি শুরু হবে বইমেলা৷ সেই কারণে ৩১ জানুয়ারিতেই হবে বইমেলা উদ্বোধন৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কথা বলে নিয়েছেন গিল্ড কর্তৃপক্ষ কারণ তাঁর হাত ধরেই ৪৩তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার শুভারম্ভ হবে৷
এবারের বইমেলার ফোকাল থিম কান্ট্রি ঐতিহাসিক মায়া সভ্যতা গড়ে ওঠার কেন্দ্রভূমি গুয়াতেমালা। প্যাভিলিয়নে ঢুকলেই দেখা যাবে মায়া সভ্যতার নিদর্শন, থাকবে চার হাজার বছর আগের এই অসাধারণ সভ্যতায় জ্যোতির্বিজ্ঞানের যে উন্নতি হয়েছিল তার নিদর্শন। বিশেষ আকর্ষণ হিসাবে থাকবে বিশালাকায় ঘুড়ি। প্রায় ৪০ ফুট চওড়া এই ঘুড়ি ওড়ানো দেখতে সারা বিশ্বের বহু লোক গুয়াতেমালা যান। এছাড়াও থাকবে সেখানকার পোশাক, খাবার সবকিছুই।
অন্যান্যবারের মত এবারেও থাকছে দেশ-বিদেশের বইয়ের বিস্তৃত সম্ভার। জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি। অপেক্ষার তালিকায় আরও একদিন বেড়ে গেলেও অধীর আগ্রহে বইপ্রেমীরা অপেক্ষা করছেন বইপুজোর জন্য।