ক্ষমতায় এসেই এ রাজ্যের পর্যটনকে পাখির চোখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় পর্যটক টানতে তাঁর নেতৃত্বে গোটা রাজ্য জুড়েই চলছে পর্যটনকেন্দ্রগুলিকে ঢেলে সাজানোর কাজ। পাশাপাশি গড়ে উঠছে নতুন নতুন পর্যটনকেন্দ্রও। সেই পথ ধরেই নদীয়া জেলার পলাশিতে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। একইসঙ্গে নবদ্বীপ ও মায়াপুরকে নিয়ে গড়ে তোলা হবে হেরিটেজ সিটি।
এই দুুটি ক্ষেত্রেই কাজ কতদূর এগিয়েছে বা জমি নিয়ে কোনও সমস্যা আছে কিনা, গতকাল নদীয়ার প্রশাসনিক বৈঠকে জেলাশাসক সুমিত গুপ্তর কাছে তা জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। উত্তর দিতে গিয়ে জেলাশাসক জানিয়ে দেন জমির কোনও সমস্যা নেই । এরপর মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন যত দ্রুত সম্ভব শেষ করতে হবে এই দুটি কাজ।
পলাশির ঐতিহাসিক যুদ্ধকে স্মরণ করেই পলাশিতে এই পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানা গেছে। আবার গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর জায়গা নবদ্বীপ মায়াপুরে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয় প্রতিদিন। রাজ্যের বাইরে থেকে তো বটেই এমনকি দেশবিদেশ থেকেও প্রচুর পর্যটক আসেন। থেকেও প্রচুর মানুষ আসেন। তাই এই জায়গায় হেরিটেজ সিটি গড়ে তোলার কাজ চলছে।
অন্যদিকে, নদীয়া জেলার খেঁজুর গুড়ের বিশেষ নাম রয়েছে। সেই গুড়কে প্যাকেজিং করে বাইরে বিক্রি করার ব্যবস্থা করা যায় কিনা, প্রশাসনকে সে কথাও ভেবে দেখতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলার সমস্ত উন্নয়নের কাজ যাতে সঠিক ভাবে হয় এবং সেইসব কাজে সব স্তরের নেতা-কর্মী, এমনকি জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদ্যস্যরা যুক্ত হতে পারেন, সেইজন্য এই জেলার কতজন জেলা পরিষদে তৃণমূল জিতেছে, তা জানতে চান।
তাঁকে জানানো হয়, মোট ৪৭ জনের মধ্যে ৪৫ জন তৃণমূল থেকে জিতেছেন। মুখ্যমন্ত্রী ৪৫ জনকে তাঁদের এলাকার কাজে যুক্ত হতে বলেন। যে দু’টি জায়গায় তৃণমূলের নেই, সেই জায়গায় বিধায়কদের উন্নয়নের কাজে যুক্ত হতে বলেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের রাজ্য ডিমের চাহিদা প্রচুর। সেক্ষেত্রে পোল্ট্রি করে মুরগি পালন করলে ডিমের চাহিদা মিটবে এবং স্বনির্ভরও হওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার ভাল রকমের আর্থিক সাহায্যও করবে বলেও আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী।