আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধনের আগেই ভিড় জমতে শুরু করেছিল সাগরমেলায়। তবে আজ বৃহস্পতিবার সরকারি ভাবে উদ্বোধন হতে চলেছে গঙ্গাসাগর মেলার। গতকালই মেলা প্রাঙ্গণে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার অস্থায়ী প্রশাসনিক কার্যালয়। গতবারের তুলনায় এবার আরও বেশি নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে সাগরমেলাকে।
মেলা প্রাঙ্গণের নজরদারি এবং ভিড় সামাল দিতে প্রশাসন এবং পুলিশের পয়েন্ট ইনচার্জদের নিয়ে গতকাল বিকেলে এক বৈঠক হয়। যেখানে তীর্থযাত্রীরা কাকদ্বীপ থেকে মুড়িগঙ্গা পেরিয়ে কচুবেড়িয়া হয়ে কপিলমুনির মন্দিরে কীভাবে পৌছাবেন তা নিয়ে আলোচনা হয়। তার সঙ্গে ভাঁটার সময়ে কীভাবে ভিড় নিয়ন্ত্রণে রেখে পারাপার করা যাবে সেই বিষয়েও আলোচনা করা হয়। গতকাল সন্ধ্যায় জেলাশাসক এবং অতিরিক্ত জেলাশাসক আধিকারিকদের একটি দল নামখানা ঘুরে দেখেন এবং লঞ্চে চলে যান সাগরের বেণুবন জেটিঘাটে। সবকিছু খুঁটিয়ে তদারকি করেন তাঁরা।
মেলার জন্য বিশেষ বাস চলাচল করবে আগামী ১১ থেকে ১৭ জানুয়ারি। মেলায় পুণ্যার্থীদের আসা-যাওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগমের সমস্ত বাস এবং ভেসেলে থাকবে অত্যাধুনিক ‘জিপিএস লোকেশন ট্র্যাকার’। তা দিয়ে শহরে বসেই প্রত্যন্ত এলাকাতেও বাস-ভেসেলের চলাচলে নজরদারি চালানো সম্ভব হবে। মেলার দিনগুলিতে কোনও কারণে কোথাও পরিষেবা ব্যাহত হলে, সঙ্গে সঙ্গেই কন্ট্রোল রুমে বসে জিপিএস লোকেশন ট্র্যাকারের মাধ্যমে তার খবর পাওয়া যাবে। ফলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া আগেভাগে শুরু করা সম্ভব হবে। প্রয়োজনে পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হবে। নজরদারি চলবে বেলুন এবং ড্রোণ ক্যামেরাতে৷ মেলায় সবচেয়ে ভিড় হতে পারে ১৫ এবং ১৬ জানুয়ারি। এই দিনগুলিতে জরুরি প্রয়োজনে অতিরিক্ত বাস মজুত রাখা থাকবে। যাত্রীরা প্রয়োজনে নিগমগুলির হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে সুবিধা-অসুবিধার কথা জানাতে পারেন।