বনধের দ্বিতীয় দিনেও সচল বাংলা। কয়েকটি এলাকায় বনধ সমর্থকরা বাধা দিলেও বামেদের ডাকা দেশব্যাপী দু’দিনের ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনেও খোলা ছিল স্কুল, কলেজ, হাট-বাজার। এদিন সকাল থেকেই সজাগ ছিল পুলিশ। শহরজুড়ে কমপক্ষে তিন হাজার পুলিশের নজরদারি চলছে। বাড়ানো হয়েছে মহিলা পুলিশও। কয়েকটি শাখায় রেল অবরোধ হলেও পুলিশের হস্তক্ষেপে কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ধর্মঘট সফল করার মরিয়া চেষ্টায় বেশ কয়েকটি জায়গায় বাস ভাঙচুর চালায় ধর্মঘটিরা। বাদ যায়নি স্কুল বাসও। কোচবিহারের মড়াপোড়া চৌপথী এলাকায় ভাঙচুর হয় উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহনের বাস। বাসটি কোচবিহার থেকে দিনহাটা যাচ্ছিল। আচমকা গলি থেকে দুজন বেরিয়ে গাড়ির সামনের গ্লাসে ঢিল মারে। ভেঙে যায় গাড়ির সামনের কাচ। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন গাড়ির চালক-সহ যাত্রী। সকালে হাবরা ২ নম্বর রেলগেটের কাছে রেললাইনের উপর বেশ কয়েকটি তাজা বোমা পড়ে থাকতে দেখা যায়| স্থানীয় বাসিন্দারাই এই বিষয়ে রেল পুলিশকে অবহিত করেন| রেল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বোমা গুলি উদ্ধার করেছে| আমহার্স্ট স্ট্রিটে ধর্মঘটিরা একটি পুলকারে ভাঙচুর চালায়। প্রায় ১৪-১৫ জন শিশু ছিল ওই পুলকারে। তাদের কেউ কেউ পুলকারের কাঁচ ভেঙে যাওয়ায় আহত হয়েছে বলে খবর।
ধর্মঘট সফল করতে এমন হিংসার আশ্রয় নেওয়ার ঘটনায় বামেদের দূর্বল সংগঠনের কঙ্কালসার চেহারাটাই স্পষ্ট হয়ে গেল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখেনি বামেদের শ্রমিক সংগঠন। কিন্তু পুলিশের সক্রিয়তায় তাদের কোনও চেষ্টাই দানা বাঁধেনি। নিত্যযাত্রীরা কর্মস্থলে গেছেন। মেট্রোতেও আর পাঁচদিনের মতো ভিড় রয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি অফিসে হাজিরা ছিল স্বাভাবিক। সাধারণ মানুষই দুই দিনের বন্ধকে ব্যর্থ করে দিয়েছেন।