নদীয়ার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে পুলিশকে কড়া হাতে ফড়ে এবং সমাজবিরোধীদের দমন করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘দুষ্টুমি করলে রেয়াত করবেন না সমাজবিরোধীদের’। এর সঙ্গে তেহট্ট, হাঁসখালি, করিমপুর, তাহেরপুর ইত্যাদি নদিয়ার সীমান্ত এলাকায় খুনোখুনি বেশি হয় বলে জেলার পুলিশ সুপারকে সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, এই সব এলাকায় প্রশাসনের নজরদারি বাড়াতে হবে।
আজ বুধবার নদীয়ার প্রশাসনিক বৈঠকে রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র এবং মুখ্য নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ কর পুরকায়স্থের সামনেই কল্যানী থানার ওসিকে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, ‘কল্যানীতে কি গুণ্ডাদের দাপাদাপি কমেছে’? জবাবে ওসি জানান, কমেছে। এরপরই নাম না করে বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কল্যানী থানার ওসিকে বলেন, ‘ফেট্টি বেঁধে, নামাবলী গায়ে দিয়ে যা ইচ্ছে তা করে যাবে, তা হয় না। এদের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই’।
সম্প্রতি দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানার প্রশাসনিক বৈঠকেও পুলিশকে একই বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যে কোনও সমাজবিরোধী কাজ রুখতে কড়া নজরদারির পরামর্শ দিয়েছিলেন মমতা। নদীয়াতেও প্রশাসনকে আরও কড়া হওয়ার নির্দেশ দিলেন তিনি।
জেলা আধিকারিকদের কাছে নদীয়ার সরকারি কাজের উন্নয়নেরও খতিয়ান চান মমতা। জেলায় মসলিন শিল্পের জন্য গুজরাত থেকে চরকা আনার জন্য প্রশাসনকে ভর্ৎসনা করেন তিনি। বলেন, ‘মসলিন শিল্প এরাজ্যের মানুষকে স্বনির্ভর করার জন্য। গুজরাত থেকে কেন মেশিন আনতে হবে? এরাজ্যেই প্রস্তুত করতে হবে পরিকাঠামো থেকে উৎপাদন’। পাশাপাশি জেলার নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘প্রতিদিন মানুষের কথা শুনতে হবে, মানুষের সঙ্গে মিশতে হবে। কাজ না করলে কেউ পার পাবেন না’।