স্কুল-কলেজ খোলা ছিল। জয়েন্ট পরীক্ষা দিতেও গিয়েছেন পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু ধর্মঘটীরা রেহাই দিল না স্কুল বাসগুলিকেও। ধমক-চমক তো ছিলই। তারওপর স্কুল বাসগুলিকে চিহ্নিত করে ভাঙচুর চালাল বামপন্থী সংগঠনগুলি।
বারাসাতের চাঁপাডালি মোড়ে স্কুল বাস দাঁড় করিয়ে ভাঙচুর করে ধর্মঘটিরা। লাঠি দিয়ে মেরে ভেঙে ফেলে কাচের জানলা। আতঙ্কে বাস থেকে নেমে পড়েন স্কুল পড়ুয়া ও তাঁদের অভিভাবকেরা। তারপর বাসের ভেতর চলে ধর্মঘটীদের তাণ্ডব। চাঁপাডালি মোড়ে ফরোয়ার্ড ব্লক অবরোধ করতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। তখনই বাস আটকে চলে ভাঙচুর।
বর্ধমানের পালসিটেও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় পরীক্ষার্থীদের। বাসের মধ্যেই তাদের আটকে রাখা হয়। হাজার অনুনয় বিনয়েও মন গলেনি ধর্মঘটীদের। ঢিল ছুঁড়ে বেশ কয়েকটি স্কুল বাসের কাচ ভাঙা হয়েছে বলেও অভিযোগ।
পরিবহন দফতর সূত্রে এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, রাজ্য জুড়ে ১১ টি বাসে ভাঙচুর করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে অনেকগুলি স্কুল বাসও। প্রশ্ন উঠেছে, ধর্মঘটে কেনও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হলো পড়ুয়াদের? কেন পরীক্ষার্থীদের অনুরোধকে গুরুত্ব দেওয়া হলো না? আগামীকাল, অর্থাৎ ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনের দিকে এখন তাকিয়ে পড়ুয়া ও অভিভাবকেরা।