সিবিআই মামলায় মুখ পুড়ল কেন্দ্রের। কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী সংস্থার ডিরেক্টর পদে পুনর্বহাল করা হল অলোক বর্মাকে। গত ২৩ অক্টোবর তাঁকে ছুটিতে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের সেই সিদ্ধান্তকে আজ মঙ্গলবার খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জয় কে কৌল সাফ জানিয়ে দিলেন, আবার সিবিআই অধিকর্তা পদে ফিরিয়ে আনতে হবে অলোক বার্মাকে৷
দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে সিবিআইয়ের গৃহযুদ্ধ ও তার পরিপ্রক্ষিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয় আলোক বর্মাকে। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন অলোক বর্মা৷ তিনি জানান, এটা সিবিআই নিয়মের বাইরে। তিনি গত দু’বছর ধরে এই পদে রয়েছেন এবং শুধুমাত্র নিয়োগ কমিটির নির্দেশেই তিনি তাঁর পদ ছাড়বেন।
সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন অলোক বার্মা৷ আজ মঙ্গলবার ছিল সেই মামলার শুনানি। বিচারপতি সঞ্জয় কে কৌল তাঁর রায়ে ২৩ অক্টোবরের কেন্দ্রের নির্দেশিকাকে খারিজ করে দেন৷ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, আজ থেকেই কাজে যোগ দিতে পারবেন অলোক বার্মা৷ এই রায়ে অলোক বর্মাকে সিবিআইয়ের ডিরেক্টর পদে পুনর্বহাল করা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তাঁকে পূর্ণক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি। আদালত জানিয়েছে, এই মূহূর্তে তিনি কোনও নীতি নির্ধারণ করবেন না।
তার আগে সিবিআই ডিরেক্টর বাছার জন্য একটি হাইপাওয়ার্ড কমিটি রয়েছে। সেই কমিটির সদস্য প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। যেহেতু আগামী ৩১ জানুয়ারি অবসর নেবেন অলোক বর্মা তাই ওই কমিটিকে সাতদিনের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি অলোক বর্মাকে ছুটিতে পাঠানোর জন্য সিভিসির সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সিলেক্ট কমিটির সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল।
প্রসঙ্গত, অলোক বর্মার অপসারণ জাতীয় রাজনীতির অন্যতম ইস্যু। বিরোধীদের অভিযোগ, অলোক রাফাল মামলার তদন্ত করছিলেন বলেই তাঁকে সিবিআই ডিরেক্টরের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে সিবিআই-এর মতো স্বশাসিত সংস্থায় কেন্দ্রীয় সরকার যে ভাবে নাক গলিয়েছে তাকেও অসাংবিধানিক বলে দাবি করেন বিরোধীরা।