এপিজে আবদুল কালামের চেয়েও কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী হর্ষবর্ধন অনেক বড় মাপের বিজ্ঞানী। খুব শীঘ্রই তিনি কালামের চেয়েও বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠবেন। জলন্ধরে ১০৬ তম ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের মঞ্চে দাঁড়িয়ে এমনই মন্তব্য করলেন বিজ্ঞানী কান্নন জেগাথালা কৃষ্ণণ।
এখানেই থামেন নি তামিলনাড়ুর আলিয়ারে ওয়ার্ল্ড কমিউনিটি সার্ভিস সেন্টারের ‘সিনিয়র রিসার্চ সায়েন্টিস্ট ও কোঅর্ডিনেটর’ জেগাথালা কৃষ্ণন। আরও একধাপ এগিয়ে তিনি বলেন, ‘আইনস্টাইন আর নিউটন গোটা বিশ্বকে বিভ্রান্ত করেছিলেন। তাঁর তত্ত্বে মহাকর্ষীয় বিকর্ষণ বল (গ্র্যাভিটেশনাল রিপালসিভ ফোর্স) সম্পর্কে যা যা বলেছিলেন আইনস্টাইন, তার আদ্যোপান্তই ভুলে ভরা’। এমনকি পদার্থবিজ্ঞানে তিনি যে নতুন তত্ত্ব দেবেন, তাতে মহাকর্ষীয় তরঙ্গের নাম ‘নরেন্দ্র মোদী তরঙ্গ’ দেবেন বলেও জানিয়েছেন কৃষ্ণন।
বিজ্ঞান কংগ্রেসের মতো দেশের শীর্ষ স্তরের সম্মেলনে এমন মন্তব্যে রীতিমতো আলোড়ন শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে। ব্যঙ্গ বিদ্রুপে ভেসে যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে বিজ্ঞান কংগ্রেসে তাঁরা আমন্ত্রিত হলেন?
তীব্র নিন্দা, সমালোচনার মুখে ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেস অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল প্রেসিডেন্ট মনোজ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘এই সব খুবই অনভিপ্রেত। আমার জানা ছিল না এই সব মন্তব্য করা হচ্ছে বিজ্ঞান কংগ্রেসের মঞ্চে দাঁড়িয়ে। কী ভাবে তাঁরা আমন্ত্রিত হলেন, তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কী, আমরা সেই সব বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি’।
প্রসঙ্গত, এর আগে অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বায়োটেকনোলজিস্ট অধ্যাপক জি নাগেশ্বর রাও বলেছিলেন, ‘মহাভারতের কৌরবরা সকলেই টেস্ট টিউব শিশু ছিলেন। তা না হলে গান্ধারীর পক্ষে শত পুত্রের জননী হওয়া সম্ভবই হত না। আর দশাবতার (রাবণ) যে বিবর্তনের তত্ত্ব দিয়েছিলেন, তা ডারউইনের চেয়ে অনেক বেশি উন্নত’। এই মন্তব্য ঘিরেও সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। এবার আরেক বিজ্ঞানী কালামের চেয়ে হর্ষবর্ধনকে বড় বিজ্ঞানী বলে মন্তব্য করলেন।