সিনেমার পর্দা থেকে রাজনীতির ময়দানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই এনেছেন বিশিষ্ট অভিনেতা দেবকে। দেব এখন ঘাটালের সাংসদ আর এই মুহূর্তের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেতা। অভিনয়, প্রযোজনা সবটাই একা হাতে দক্ষ ভাবে সামলান আর তার সাথেই পালন করেন সাংসদের দায়িত্বও। শুক্রবার কেশপুরে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন সাংসদ, অভিনেতা দেব ওরফে দীপক অধিকারী আর একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে জানালেন বাংলার প্রগতির কথা। উন্নয়নে যে বাংলাই সেরা তা আবারও জানালেন দেব।
শুক্রবার দেব বারবার বলেছেন মমতার হাত ধরেই বাংলা সেজে উঠেছে, হয়ে উঠেছে ‘সোনার বাংলা’। উন্নয়নের নিরিখে বাংলাই যে দেশের সব থেকে সেরা তা জানিয়ে দেব বলেন, ‘গত সাড়ে সাত বছরে উন্নয়নের দিক থেকে পিছিয়ে থাকা বাংলায় যেভাবে উন্নয়ন হয়েছে তা আর কোনও রাজ্যে হয়নি। সবই সম্ভব হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেষ্টায়। কেন্দ্রের বঞ্চনা, ঋণের বোঝা সব সামলে উঠেও মুখ্যমন্ত্রী সবদিক থেকে যেভাবে বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন তা দেখে বাংলার মানুষের গর্ব হয়।’
শুক্রবার বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন তিনি। সাহসপুরে ঘোষাল হাই স্কুলে তাঁর সাংসদ তহবিলের টাকায় পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হয়েছে। গতকাল সে সব উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ দেব।
সাহসপুর থেকে দেব যান আনন্দপুরে। গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে এবং তাঁর সাংসদ তহবিলের আর্থিক সহযোগিতায় এখানেও একটি আধুনিক মানের শিশু উদ্যান গড়ে তোলা হবে। এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল একটি শিশু উদ্যানের। শিশুদের মনোরঞ্জন ও খেলাধুলোর জন্য সবুজ ঘাস ও ফুলের বাগান ঘেরা পার্কে সমস্ত রকমের ব্যবস্থা থাকবে। এদিন দেব প্রস্তাবিত সেই পার্কের শিলান্যাস করেন। সেখান থেকে তিনি আল মদিনা অ্যাকাডেমি নামে একটি মাদ্রাসায় যান। কুঁয়াই হাইস্কুল ও আন্দিচক হাইস্কুলেও যান। দেবের সাংসদ তহবিলের অর্থে মাদ্রাসা ও স্কুলগুলিকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। বিভিন্ন পরিকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। সেগুলিরও এদিন উদ্বোধন করেন দেব। সাংসদের এই সাহায্যে খুশি এলাকার বাসিন্দারা। এদিন দেবকে একবার দেখার জন্য বহু দূর থেকে মানুষ এসেছিলেন। সভা উপচে পড়েছিল ভিড়ে।
অনুষ্ঠানগুলিতে যোগ দিয়ে দেব বলেন, ‘২০১৪ সালে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হওয়ার পর কেশপুরে এসেছিলাম। কথা দিয়েছিলাম এলাকার উন্নয়নে সব সময় পাশে থাকব। আপনারা উদ্যোগ নিয়েছেন। আমি কথা রেখেছি।’