নোটবন্দীর ধাক্কা এখনও সামলে উঠতে পারেনি দেশের জনগণ। তার মধ্যেই এবার আবারও এক তুঘলকি সিদ্ধান্ত নিল মোদী সরকার। সদ্য চালু করা দু’হাজার টাকার নোট ছাপানো বন্ধ করে দিল কেন্দ্র।
ইতিমধ্যেই এই নোট ছাপার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে দেশের অর্থমন্ত্রক সূত্রে খবর। ২০১৮ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত বাজারে মোট ১৮.০৩ ট্রিলিয়ন মূল্যের কারেন্সি রয়েছে। যার মধ্যে ৬.৭৩ ট্রিলিয়ন অর্থাৎ ৩৭ শতাংশ ২০০০ টাকার নোট। আর ৪৩ শতাংশ ৫০০ টাকার নোট রয়েছে। তবে যা বাজারে আছে তা থাকছে। নতুন করে আর ২০০০ টাকার নোট ছাপানো হবে না বলে জানিয়েছে অর্থমন্ত্রক।
কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তে স্বাভাবিকভাবেই সরব হয়েছে বিরোধীরা। এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এই বড় অঙ্কের নোট বাজারে আনা হল কেন? আবার আনা হলে তা ছাপা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে কেন? এমনকি ছাপা বন্ধ করে দেওয়াই যদি হবে, তাহলে নোট বাতিলের নাম করে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করা হয়েছিল কেন? আসলে কোন সিদ্ধান্তটা সঠিক তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে জনগণের মধ্যে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে নতুন ৫০০ ও ২০০০ টাকার নোট দেশে নিয়ে এসেছিল মোদী সরকার। কিন্তু দু’বছর যেতে না যেতেই এই ২০০০ টাকার নোট ছাপানো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ফলে যে লক্ষ্যে নোট বাতিল করা হয়েছিল সেই লক্ষ্যপূরণে কেন্দ্র ব্যর্থ, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, ২০০০ টাকার নোট বাজারে নিয়ে এসেও কালো টাকার রমরমা কমানো যায়নি বরং জাল নোটের সংখ্যা বেড়েছে। এমনকি কর ফাঁকির পরিমাণও বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই তড়িঘড়ি নোট ছাপার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।