আগামী ৭ জানুয়ারি, সোমবার শপথ নিতে চলেছে বাংলাদেশের নতুন মন্ত্রিসভা। ও’দিন বিকেল সাড়ে ৩টে বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিত শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে শপথ গ্রহণ করবেন হাসিনা সরকারের নতুন মন্ত্রীরা। নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে প্রধানমন্ত্রী, এরপর পূর্ণ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা শপথ নেবেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ নতুন মন্ত্রীদের শপথ পড়াবেন। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় পায় আওয়ামি লীগ। আওয়ামি লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৮৮টি আসনে জয়লাভ করে। যেখানে আওয়ামি লীগ একাই জিতেছে ২৫৭টি আসনে। ফলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে টানা তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠন করতে যাচ্ছে তারা।
বৃহস্পতিবারই নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠানের শুরুতে শপথ নেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-সহ আওয়ামি লীগের অন্যান্য সংসদ সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
আওয়ামি লীগের সদস্যরা শপথ নেওয়ার পর জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, তরিকত ফেডারেশন, জাতীয় পার্টি-জেপির সদস্যরা শপথ নেন। তবে জাতীয় সংসদে যোগ দিচ্ছে না বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিকেলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বঙ্গভবনে সাক্ষাৎ করেছেন হাসিনা। সে সময় রাষ্ট্রপতি একাদশ জাতীয় সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের আস্থাভাজন হিসেবে আওয়ামি লীগ সভাপতি তথা মুজিব-কন্যাকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানান।
উল্লেখ্য, হাসিনার বিদায়ী মেয়াদের সরকারে মন্ত্রীর সংখ্যা অর্ধশতের আশপাশেই ঘোরাফেরা করছিল। নতুন সরকারের সদস্য সংখ্যা কত হবে, সে বিষয়ে কোনো আভাস পাওয়া যায়নি। দীর্ঘদিন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসার পর ২০০৯ সালে তিনি সরকার গঠনের সময় নতুনদের প্রাধান্য দিয়েছিলেন। তবে পরের মেয়াদেই আবারও মন্ত্রিসভায় ফিরিয়ে এনেছিলেন প্রবীণ নেতাদের অনেককে।
এবার কী করবেন? সে বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামি লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, এ ব্যাপারে তাঁরা কিছু জানেন না। এটা হাসিনাই ঠিক করবেন।