বাংলায় বিজেপির রথযাত্রায় প্রশাসনিক আপত্তি নিয়ে টুইট করল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। অর্থাৎ পয়লা জানুয়ারির সাক্ষাৎকারে যে রাজনৈতিক মন্তব্য করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, টুইটে সেটাই তুলে ধরল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। এমন বেনজির ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রশ্ন উঠেছে, লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির হয়ে প্রচার করতে কি এবার প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে মাঠে নামানো হয়েছে?
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পোস্ট করা ওই টুইটে লেখা হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে সাধারণ গণতান্ত্রিক অধিকারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ, কেরল ও কর্নাটকে নির্মমভাবে বিজেপি কর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে। হিংসার রাজনীতি অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার। শান্তিপূর্ণ ও রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য প্রত্যেকটি দলের কাজ করা প্রয়োজন’।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর একটি সম্পূর্ণ সাংবিধানিক সংস্থা। সেই সংস্থার টুইটে কীভাবে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের নাম নেওয়া হল সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। কেন একটি রাজনৈতিক কর্মসূচী নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় সরকারের এই উদ্বেগ তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এবং বিচারপতি সঞ্জয় কিসান কৌলের বেঞ্চে বিজেপির রথযাত্রা মামলার শুনানি হবে ৮ জানুয়ারি। রাজনৈতিক মহলের মতে, শুনানি শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে এমন টুইট আসলে শীর্ষ আদালতের ওপর চাপ তৈরির কৌশল। ইতিমধ্যে বিজেপির তরফে শীর্ষ আদালতে এই মামলার দ্রুত শুনানির আর্জিও জানানো হয়েছে।
এর আগে সিবিআই, আরবিআই-এর মতো একাধিক সরকারি সংস্থা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কাছে বিকিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা। অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী দফতরের এই টুইট বিরোধীদের সেই অভিযোগেরই সত্যতা প্রমান করছে।
প্রসঙ্গত, প্রথমে রথযাত্রা হবে বলে ঘোষণা করেও পরে রথযাত্রার নাম পাল্টে ‘গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা’র ঘোষণা করে রাজ্য বিজেপি। সেই সময় আইনশৃঙ্খলার অবনতির কথা জানিয়ে যাত্রার অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার। মামলা গড়ায় আদালতে। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বঙ্গ বিজেপি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। মাঝে শীতকালীন ছুটি থাকায় জরুরি আবেদনের শুনানি হয়নি।