দূরন্ত অভিমন্যু ঈশ্বরন। ইডেনে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলে বাংলাকে জয়ে ফেরানো ইনিংস দেখে এমনটাই বলছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু নিজের ১৮৩ রানের ইনিংসকে জীবনের সেরা বলতে রাজি নন। তবে সেরা তিনে যে তা থাকবে, তা মানছেন নির্দ্বিধায়।
সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলার ওপেনার বললেন, ‘এটা সেরা ইনিংস বলতে পারব না। তবে নকআউটে যাওয়ার প্রশ্ন জড়িয়ে ছিল। জিততেই হত আমাদেরকে। টপ থ্রি-তে রাখব এই ইনিংসকে।’
পজিটিভ থাকলে তিনশো রান তাড়া করা সম্ভব, বিশ্বাস ছিল। আর সেই বিশ্বাস থেকেই রঞ্জিতে খেললেন ম্যাচ-জেতানো ইনিংস। ইডেনে চতুর্থ ইনিংসে ৩২২ রানের জয়ের লক্ষ্য তাড়া করে দিল্লির বিরুদ্ধে বাংলাকে সাত উইকেটে জিতিয়েও স্বাভাবিক থাকছেন অভিমন্যু ঈশ্বরন।
অভিষেক রামনের সঙ্গে ওপেনিংয়ে ১২১ রান তুলেছিলেন অভিমন্যু। যা চাপ কমিয়ে দিয়েছিল। ২১১ বলে ২৩ চার ও দুটো ছয়ে ইনিংস সাজিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘জানতাম, শুরুতে বোলাররা সুবিধা পাবে। আর্দ্রতা থাকবে। তাই প্রথম আধ ঘন্টা খেলে দিতে পারলে আমরা লড়াইয়ে থাকব। ওপেনিংয়ে বড় রান হওয়া জরুরি ছিল। এতে ড্রেসিংরুমেও ইতিবাচক বার্তা যায়। আর উইকেট ক্রমশ সহজ হয়ে উঠছিল। কিছু হচ্ছিল না। এত বড় রান তাড়া করতে হলে ভালো ভিত হওয়া দরকার।’
ভারত এ দলের হয়ে কোচ হিসেবে পেয়েছিলেন রাহুল দ্রাবিড়কে। যা কাজে এসেছে। অভিমন্যু বললেন, ‘বড় রান আসছিল না। ৬০-৭০ করে আউট হয়ে যাচ্ছিলাম। রঞ্জি ম্যাচেও তাই হচ্ছিল। নিউজিল্যান্ডেও তাই হচ্ছিল। তখনই রাহুল-স্যার আমাকে বলেন যে রান নিয়ে না ভেবে পদ্ধতিতে মন দিতে। সেটাই কাজে এল।’ অভিমন্যু অপরাজিত থাকেন ১৮৩ রানে। মারেন ২৩টি চার এবং দু’টি ছয়।
