এবার উত্তর প্রদেশে ভাঙন ধরল বিজেপিতে। যতই সপা-বসপা-আরএলডি জোট দানা বাঁধছে, ততই কাঁপুনি বাড়ছে গেরুয়া শিবিরে। দল ছাড়তে তৈরি হচ্ছেন একের পর এক বিজেপির সাংসদ ও বিধায়কেরা।
বসপা সূত্রে খবর, বিজেপির ২ সাংসদ ও ৩ বিধায়ক এই মুহূর্তে মায়াবতীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ থেকে নানা দলের ১২ জন নেতা বসপায় যোগ দিতে চেয়ে মায়াবতীর দ্বারস্থ হয়েছেন। বসপা-র প্রদেশ সভাপতি আরএস কুশওয়াহা আবার বলেছেন, ‘বিভিন্ন দলের বহু নেতা বসপায় যোগ দিতে চাইছেন। খুব শিগগিরই বড় ধাক্কা খাবে বিজেপি, কংগ্রেস–সহ অন্যান্য দল।’
মায়াবতী-অখিলেশদের জোটের আসন ভাগাভাগির সিদ্ধান্ত ঘোষিত হওয়ার কথা জানুয়ারির মাঝামাঝি নাগাদ।১৫ জানুয়ারি মায়াবতীর জন্মদিন। সেদিন বড় ঘোষণা করতে পারেন তিনি। সেদিনই বিভিন্ন দলের বেশ কিছু নেতা বসপায় নাম লেখাতে পারেন বলে জানা গেছে। তাঁদের মধ্যে বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ সাবিত্রীবাই ফুলের নাম সবার ওপরে। মায়াবতী-অখিলেশদের জোটে কংগ্রেস নেই। যদিও বলা হচ্ছে, দরাদরি করে শেষমেশ কংগ্রেসকেও জোটে নেওয়া হতে পারে। উত্তরপ্রদেশের বিরোধী ভোট এক ছাতার তলায় আসবে। বিশেষত দলিত-মুসলিম-যাদব-ব্রাহ্মণ ভোট এক জায়গায় আনার সমীকরণ তৈরি হচ্ছে।
লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে দলিত অসন্তোষ ও কৃষকের দুর্দশা এবার বড় ইস্যু। সেই দিক থেকে দলিত নেত্রী হিসেব মায়াবতীর গুরুত্ব অনেকটাই। এই পরিস্থিতিতে সমাজবাদী পার্টির নেতা ও বিজনৌরের প্রাক্তন বিধায়ক রুচি বীরা হাজারখানেক সমর্থককে নিয়ে বসপা-তে যোগ দিয়েছেন। তঁাকেই বিজনৌর থেকে প্রার্থী করতে চলেছেন মায়াবতী। ২০০৪ ও ২০০৯ সালের নির্বাচনে অ–বিজেপি দলগুলির দখলে ছিল মোট ৭০টি আসন। গত বার ৪২.৬৩ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজেপি দখল করেছিল ৭১টি আসন। সপা ২৩.৩৫ শতাংশ ভোট পেয়ে ৫টি আসন পেয়েছিল। কংগ্রেস ৭.৫৩ শতাংশ ভোট পেয়ে ২টি আসন দখল করেছিল। বসপা ১৯.৭৭ শতাংশ ভোট পেলেও একটিও আসন দখল করতে পারেনি। এই ৩ দলের মোট ভোট ৫০ শতাংশের বেশি। দলগুলি এক জায়গায় এলে উত্তরপ্রদেশে ভরাডুবি হবে বিজেপি-র।