এবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নতুন গভর্নর শক্তিকান্ত দাসকে দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ বলে তোপ দাগলেন সুব্রক্ষ্মণ্যম স্বামী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহরা নিজেদের পরিত্রাতা হিসেবে শক্তিকান্তকে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নর পদে বসানোর পরেই সরব হয়েছিলেন স্বামী। আর গত সোমবার হায়দ্রাবাদে ইন্ডিয়ান স্কুল অফ বিজনেসের একটি অনুষ্ঠানে আরও বিস্ফোরক হয়ে উঠলেন তিনি।
ওইদিন ক্ষুব্ধ স্বামী সরাসরি বলেন, শক্তিকান্ত দাস একজন চূড়ান্ত দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ। এমনকি তাঁকে কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমের চেলা বলেও মন্তব্য করেন তিনি। স্বামী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, শক্তিকান্তকে এমন উঁচু পদে বসানোয় তিনি মর্মাহত।
স্বামী জানান, তিনি যখন পি চিদম্বরম বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে এগোচ্ছিলেন, তখন অৰ্থমন্ত্রকে বসে সে ব্যাপারে নাক গলিয়েছিলেন শক্তিকান্ত দাস। তাঁর অভিযােগ, দাস যখন চেন্নাইয়ে ছিলেন, তখনই তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। তারপর দেখা যায়, নোট বাতিলের সময় এই ব্যক্তিই সরকারের ‘কাছের’ হয়ে ওঠেন।
তিনি দাবি করেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর করা উচিত ছিল বেঙ্গালুরুর ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট আর বৈদ্যনাথকে। ঘটনা হল, বৈদ্যনাথ সঙ্ঘের বহু পুরনো সদস্য। দাসের সমালোচনা করতে গিয়ে স্বামী তাঁর নাম তুলে আনায় অস্বস্তি বেড়েছে সরকারের।
তবে এত কিছুর পরেও দল অবশ্য এখনও স্বামীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে না। এমনকি তাঁর উদ্দেশ্যে কোনও সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়নি। আসলে বিজেপির আশঙ্কা, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে দুর্নীতি-বিরােধিতার ভাবমূর্তি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর পাশাপাশি বিক্ষুব্ধ এই নেতার পেছনে আছে আরএসএসের পূর্ণ সমর্থন। কারণ রাম মন্দির নিয়েও সরব তিনি।
তবে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের চুপ থাকাকে ভাল ভাবে নিচ্ছেন না অনেক নেতাই। ফলে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে বিজেপির অন্দরেই। অনেকেরই প্রশ্ন, লোকসভা ভোটের আগে যখন দলকে সুশৃঙ্খল করা দরকার, তখন স্বামীর এই সব বক্তব্য দলের ক্ষতি করলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন? এর উত্তরেও মুখে কুলুপ এঁটেছেন মোদী-শাহরা।