দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারের সরকারি সভা থেকে ফড়েদের হাত থেকে কৃষকদের সতর্ক থাকার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি বিজেপির ভাগাভাগির রাজনীতির উদ্দেশ্যেও তোপ দাগেন তিনি।
প্রসঙ্গত, আজ বুধবার থেকে ৩ দিনের গঙ্গাসাগর সফর শুরু করেছেন মমতা। সেই উদ্দেশ্যে প্রথমেই আসেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারে। এখানে সভা শুরুর আগে মন্দির বাজারে খুন হওয়া তিন পরিবারের সদস্যদের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন মমতা। তারপর বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে কৃষকদের সচেতন করে তিনি বলেন, ‘ফড়েদের কোনওভাবেই যেন ধান দেওয়া না হয়। ফড়েদের আটকাতে সরকার এবার থেকে হাতে হাতে চেক দেওয়ার নিয়ম জারি করছে’। সরকারি প্রতিনিধিদের ধান দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কৃষকরা হাতে চেক পেয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিজেপিকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘কয়েকজন বিজেপি নেতা ভাগাভাগির রাজনীতি করছে বাংলায়। মানুষে মানুষে দ্বন্দ্ব বাঁধিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা। কখনও হনুমানকে দলিত বলছেন কখনও মুসলিম বলছেন, কখনও জাঠ বলছেন। উস্কানি দিয়ে ধর্মে ধর্মে বিভেদ তৈরির ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি’। বাংলায় এই রাজনীতি কিছুতেই বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘কৃষি বিমার টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে বলে প্রতারণা করছে। আসলে কেন্দ্র দেয় ২০ শতাংশ টাকা আর ৮০ ভাগ টাকা দেয় রাজ্য। যাঁরা কৃষকদের ভাল রাখবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তাঁদের শাসনকালেই দেশের ১২ হাজার কৃষক আত্মহত্যা করেছে। নাসিকে কৃষকরা পেঁয়াজের দাম পাচ্ছেন না। বাংলার কৃষকদের এই পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয় না। কারণ এই রাজ্যের সরকার মানুষের সরকার। মানুষের জন্য কাজ করে’। কাজেই এই সব রাজনৈতিক নেতাদের কথায় কান না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
এই সভা শেষ করে গঙ্গাসাগরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানা গেছে, বিকালেই গঙ্গাসাগর পৌঁছে যাবেন তিনি। কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দেওয়ার কথা আছে তাঁর। তার পর গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি ও নিরাপত্তা খতিয়ে দেখবেন। বৈঠক করবেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে।