এবার নাম না করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে বিঁধলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গাডকরি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করে ফের প্রকাশ্যে সরব হলেন তিনি।
গতকাল দিল্লিতে এক সরকারি অনুষ্ঠানে গাডকরি বলেন, ‘আমি যদি দলের সভাপতি হতাম, তা হলে দলের কোনও সাংসদ বা বিধায়কের ব্যর্থতায় দায় নিতাম।’ ৫ রাজ্যে হারের পর এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও দায় নেননি বিজেপি সভাপতি অমিত। তাই এ খোঁচা যে সরাসরি অমিত শাহকেই, কারও বুঝতে আর বাকি নেই কারও।
কিন্তু এখানেই থামেননি গাডকরি। যে নেহরুকে মোদী রোজ কাঠগড়ায় দাঁড় করান, তাঁরই প্রশস্তি করেন বিজেপির এই প্রাক্তন সভাপতি। মোদীকে বিদ্রুপ করে বলেন, ‘শুধু ভাল বক্তা হলেই ভোটে জেতা যায় না। বিদ্বান হলেই মানুষ ভোট দেয় না। যিনি ভাবেন সব জানেন, তিনি ভুল। মেকি বিপণন থেকে মানুষের দূরে থাকা উচিত।’
৫ রাজ্যে গোহারা হারের পরে পক্ষকালও অতিবাহিত হয়নি, গাডকরি এই নিয়ে মোট ৩ বার প্রকাশ্যে মোদী-শাহর নেতৃত্ব নিয়ে সরব হলেন। প্রথম কয়েক বার বিতর্কিত মন্তব্য করার পর গাডকরি দাবি করেছিলেন, সংবাদমাধ্যম তাঁর মন্তব্য বিকৃত করছে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বাসনা নাকি তাঁর একেবারেই নেই। কিন্তু একই কথা বারবার বললে সেই একই যুক্তি যে বারবার খাটে না, সেটি এখন বিজেপি নেতারাই কবুল করছেন।
ফলে বিজেপির একাংশ এখন ঘরোয়া মহলে বলছেন, উচ্চাশা নয় এটা আসলে মোদী-শাহের বিরুদ্ধে বিজেপিতে দীর্ঘদিন ধরে জমতে থাকা ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ। তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ, গাডকরি বরাবরই আরএসএসের কাছের লোক বলেই পরিচিত। তাই মনে করা হচ্ছে, আরএসএস ‘নির্দেশ’ এবং ‘অভয়’ দেওয়াতেই এভাবে ধারাবাহিক আক্রমণ করে চলেছেন তিনি।
অন্যদিকে, রাজনাথ সিংহের মতো নেতারা বাইরে নীরব থেকে বিজেপির বিক্ষুব্ধ অংশ, অসন্তুষ্ট শরিক এমনকি বিরোধীদের কাছেও গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন। কিন্তু গাডকরি প্রকাশ্যেই সমালোচনাটা করছেন। যা থেকে স্পষ্ট, দলের অন্দরেও মোদী-শাহের নেতৃত্ব এখন চ্যালেঞ্জের মুখে।
আবার একদা মোদীর ঘোর সমর্থক যোগগুরু রামদেবও বলেছেন, ‘রাজনৈতিক পরিস্থিতি কঠিন। বলতে পারব না, পরের প্রধানমন্ত্রী কে। আমি কাউকে সমর্থন বা বিরোধ করছি না। কোনও সাম্প্রদায়িক বা হিন্দু ভারত নয়, আধ্যাত্মিক দেশ ও বিশ্ব গড়তে চাই।’