পাঁচ রাজ্যে হারের পর এবার শরিকদের চাপ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বিজেপি। বিহারে শরিকদের মন পেতে নাকাল গেরুয়া শিবির। শিবসেনা আগেই জানিয়েছিল, বিহারে সব আসনে লড়বে তারা। এবার নীতিশ কুমার ও রামবিলাস পাসোয়ানকে জোটে রাখতে নিজেদের ভাগের আসনও ছাড়তে হল মোদী-শাহকে। কিন্তু তারপরেও স্বস্তি কই? অমিত শাহকে পাশে রেখেই নীতীশ শুনিয়ে দিলেন, বিজেপিতে মোদী-শাহ যুগ শুরুর আগেও এনডিএ শক্তিশালী ছিল।
উপেন্দ্র কুশওয়াহা আগেই এনডিএ জোট ছেড়েছেন। এনডিএ ছেড়ে আজই ইউপিএ যোগ দিয়েছেন ‘বিকাশশীল ইনসান পার্টি’র নেতা মুকেশ সাহনি। মনের মতো আসন না পেলে রামবিলাসও এনডিএ ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছিলেন। এমন এক অবস্থায় গত কয়েক দিনের জট কাটিয়ে আজ দিল্লিতে জোট ঘোষণা করলেন অমিত, নীতীশ, রামবিলাস। রাজ্যের ৪০টি লোকসভা আসনের মধ্যে বিজেপি ও জেডি(ইউ) লড়বে ১৭টি করে আসনে। ‘সমান আসনে’ লড়ার যে ঘোষণা আগেই করেছিলেন অমিত-নীতীশ। বাকি ৬টিতে রামবিলাসের এলজেপি। রামবিলাসকে পাঠানো হবে রাজ্যসভাতেও।
গত লোকসভা ভোটে বিহারে বিজেপি জিতেছিল ২২টি আসনে। এখন নীতীশের চাপে পাঁচটি আসন ছেড়ে সতেরোয় নামতে হল তাদের। রামবিলাসকেও নিজেদের থেকে একটি রাজ্যসভা আসন ছাড়তে হবে।
আসন সমঝোতা ঘোষণা করে অমিত শাহ বলেছিলেন, ২০১৪-র থেকেও বেশি আসনে বিহারে জিতবে এনডিএ। নীতীশ বলেন, ‘প্রয়োজনের থেকে বেশি কথা বলার স্বভাব আমার নয়। অমিত শাহ ভাবছেন, ২০১৪ সালের থেকে বেশি আসন জেতার। কিন্তু ২০০৯ সালের লোকসভার সার্বিক পরিণাম যা-ই হোক, বিহারে এনডিএ ৩২টির বেশি আসন পেয়েছিল।’ নীতীশ বুঝিয়ে দিলেন, ২০১৪-য় বিজেপিতে মোদী-শাহ যুগ শুরুর আগেও এনডিএ মজবুত ছিল। ফলে সব কৃতিত্ব মোদী-শাহের নয়।
আসন সমঝোতা ঘোষণা হলেও জট যে পুরোপুরি কাটেনি, তা জানালেন রামবিলাস-পুত্র চিরাগ। তাঁর মতে, কে কোন আসনে লড়বে, সেটি নিয়ে আলোচনা এখনও বাকি। এনডিএ সঙ্গ ছেড়ে ইউপিএ শিবিরে আসা মুকেশ সাহনি আজ বলেন, ‘বিজেপি শুধু প্রতিশ্রুতিভঙ্গ করেছে।’