মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায় সবাই সমান৷ প্রত্যেকের সমান উন্নয়নই তাঁর লক্ষ্য৷ তাই যেভাবে শহর বা গ্রামের মানুষদের সুযোগসুবিধায় তিনি নজর দেন, একইভাবে আদিবাসী, শবর সম্প্রদায়ের উন্নতিতেও তাঁর তীক্ষ্ণ নজর৷ তাই খুব স্বল্প দামে চাল-ডালের ব্যবস্থার পাশে শিশুদের জন্য ক্রেশ এমনকী তাঁদের জন্য বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার প্রকল্প নিয়েছে রাজ্য সরকার৷ এবার শবর সম্প্রদায়কে আর্থিক স্বনির্ভর করে তোলার উদ্দেশ্যে এ বার শবরদের বাড়তি কাজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার৷
জঙ্গলমহলের জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, একশো দিনের কাজের প্রকল্পে দেড়শো দিন কাজ দেওয়া হবে শবরদের। এ জন্য ব্লক থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য তলব করা হয়েছে। সেই তথ্য খতিয়ে দেখে জেলাস্তরে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করা হবে। জেলাশাসক পি মোহনগাঁধীর কথায়, ‘একশো দিনের প্রকল্পে শবররা যাতে আরও বেশি করে কাজ পেতে পারেন তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে৷’
একশো দিনের প্রকল্পের জেলা আধিকারিক মনমোহন ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘বাড়তি ৫০ দিন কাজের এই টাকাও রাজ্য দেবে।’ বাড়তি কাজের সিদ্ধান্তে খুশি লোধা-শবর কল্যাণ সমিতি। সংগঠনের জেলা সম্পাদক বলাই নায়েক বলেন, ‘‘প্রশাসনের এই উদ্যোগ ভাল। তবে মজুরির টাকা যাতে দ্রুত মেলে সেদিকে লক্ষ্য রাখা দরকার৷ আমরা আশাবাদী সরকার তা নিয়ে সচেষ্ট হবে’৷
জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি তথা তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘এক সময় আদিবাসী-জনজাতিরা সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন। আমাদের সরকার ওঁদের বিভিন্ন প্রকল্পে যুক্ত করেছে। ওঁরা কী ভাবে আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা পেতে পারেন, তা দেখা হচ্ছে।’’ আর জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের যুক্তি, ‘এই জেলায় একশো দিন প্রকল্পের কাজ আগের থেকে এখন অনেক ভাল হচ্ছে। যেখানে বাড়তি কাজের চাহিদা থাকবে, সেখানেই যাতে কাজ দেওয়া যায় তাই এই বন্দোবস্ত করে রাখা হল।’ সব মিলিয়ে শবরদের উন্নয়নের রথও যে দ্রুতবেগে ধাবিত হচ্ছে তা বেশ স্পষ্ট৷