মরশুমের শীতলতম দিন আজ৷ ক্রমশ বাড়ছে হচ্ছে শীতের পারদ। আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল বড়দিনেও থাকবে এমন হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা। আগামি কয়েক দিনের মধ্যে আরও ঠাণ্ডা পড়বে এমন কথাই জানালো দফতর। এরকম ঠাণ্ডা বড়দিনের পড়েও থাকবে। আরও খানিকটা নামতে চলেছে তাপমাত্রার পারদ।
গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের তাপমাত্রাও কমবে। শুক্রবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সপ্তাহ দুয়েক আগে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৭ ডিগ্রিতে নেমেছিল। কিন্তু তারপর পারদ ফের চড়তে শুরু করে। এর মূলে ছিল বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া একটি নিম্নচাপ।
নিম্নচাপের ফলে দু’দিন ব্যাপী টানা বৃষ্টির পর জাঁকিয়ে ঠাণ্ডা পড়ে রাজ্যে।
কাশ্মীর ও হিমাচল প্রদেশের উপর দিয়ে একটি জোরালো পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কয়েকদিন আগে প্রবাহিত হয়েছে। সেই সময় উত্তুরে হাওয়া দুর্বল হয়ে পড়ে। তাছাড়া ওই ঝঞ্ঝার প্রভাবে রাজস্থানের উপর একটি ঘূর্ণাবর্তও তৈরি হয়। সেটিও উত্তুরে হাওয়াকে বাধা দিচ্ছিল। ওই হাওয়া দুর্বল হয়ে পড়ায় গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে শীতের মাত্রা কমতে থাকে। ফলে বেড়ে যায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সেটি একসময়ে ১৯ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে গিয়েছিল। রাজস্থানের উপর তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তটি দ্রুত সরে গেলেও বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি বেশ কয়েকদিন স্থায়ী ছিল। নিম্নচাপের জন্য বায়ুমণ্ডলে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকে শীতের আমেজকে খানিকটা ম্লান করে দেয়। পরে সেই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার পর গত বুধবার থেকে ফের উত্তুরে হাওয়া সক্রিয় হয়ে ওঠে। কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ওইদিন এক ধাক্কায় ১৭ ডিগ্রি থেকে ১৪ ডিগ্রির আশপাশে নেমে আসে। তারপর থেকে তাপমাত্রা ক্রমাগত নামছে।
এবার প্রথম থেকেই রীতিমত ভেল্কি দেখাচ্ছে শীত। তবে অবশেষে থিতু হয়ে বসে রাজ্য জুড়ে তার থাবা বসাচ্ছে।