মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলাতে অবহেলিত নন কেউই। তাঁর কাছে সকলেই সমান। সকলের সমান উন্নয়নই তাঁর লক্ষ্য। সেই কারণেই পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের মানুষরা যাতে কোনোভাবেই বঞ্চিত না হন, সেদিকে সবসময় দৃষ্টি দেন তিনি। ইতিমধ্যেই তাঁদের জন্যে কম দামে চাল, ডাল ইত্যাদি রেশন দ্রব্যের ব্যবস্থা করেছেন। এবার লোধা-শবর সম্প্রদায়ের উন্নয়ন খাতে প্রায় ১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানা গেছে, সরকারি প্রকল্প বাংলা আবাস যোজনায় এই টাকার সাহায্যে শবর সম্প্রদায়ের বাড়ি তৈরি করা হবে এবং যাঁদের বাড়ি মেরামতের দরকার,তাও করা হবে ওই বরাদ্দ টাকায়। ব্যবস্থা করা হবে পানীয় জলেরও।
ওই সম্প্রদায়ের দারিদ্র্যতা কমানোর দিকেও দৃষ্টি দিয়েছেন মমতা। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে তাঁদের আয় এবং জীবনযাপনের মান উন্নয়নের বন্দোবস্ত করা হবে। হস্তশিল্পেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এবং তাঁদের হাতে তৈরি শিল্প যাতে বাজারে বিক্রির ব্যবস্থা করা যায়, তার জন্য সরকার উদ্যোগী হবে। ক্ষুদ্র কুটির শিল্পে উৎসাহ দিতে ঋণেরও ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া কৃষির উন্নতিতে সেচের ব্যবস্থা করা হবে। বিশেষ প্যাকেজ হিসেবে আদিবাসী উন্নয়ন দফতর ১২.৯০ কোটি টাকা খরচ করবে।
আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের জীবনযাপন নিয়ে নানা সমস্যার কথা সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে সরকারি সাহায্যে তাঁদের বাড়ি ও শৌচাগার করে দেওয়া হলেও তাঁদের মধ্যে রক্ষণাবেক্ষণের আগ্রহের অভাবের ফলে স্বাভাবিক ভাবেই বাড়িগুলির জরাজীর্ণ দশা। তাছাড়াও রয়েছে আর্থিক সমস্যা। পেশাগত দিকে উৎসাহ তাঁদের নেই বললেই চলে। অনেকই মদ-হাড়িয়া প্রভৃতি নেশায় আসক্ত। তাই তাঁদের সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যেই
এই ১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করলেন মমতা। আগামী বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে, অর্থাৎ এই অর্থবর্ষেই খরচ করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে খাদ্য দফতর থেকে প্রকাশিত হওয়া রিপোর্ট জানিয়েছে, শবরেরা সকলেই সরকারের দেওয়া চাল গ্রহণ করছেন। এবার তাঁদের বাসস্থান করে দেওয়ার পদক্ষেপে আদিবাসী সম্প্রদায়ের উন্নয়নের ধারা আরও দৃঢ় ভাবে বহাল রাখলেন রাজ্যের কাণ্ডারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।