কেন্দ্রের তুঘলকি নির্দেশিকার বিরুদ্ধে ফের গর্জে উঠলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। ব্যক্তিগত কম্পিউটারে নজরদারি চালানোর নির্দেশিকা দেখে ক্ষুব্ধ মমতা। তাঁর কথায়, ‘এটা বিপজ্জনক নয়?’ এই ঘটনাকে তিনি ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হিসাবেই দেখছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দাও করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, যদি এটা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য করা হয়ে থাকে তবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যথেষ্ট ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই রয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, সাধারণ মানুষকে কেন এঁর জন্য ফল ভোগ করতে হবে? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এমন তুঘলকি নির্দেশিকা প্রসঙ্গে আজ শুক্রবার সকালে একটি টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
টুইটে তিনি লেখেন, ‘আমি জানতে পেরেছি যে গতকাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ১০ টি কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ছাড়পত্র দিয়েছে যাতে তারা যে কোনও কম্পিউটারে উৎপন্ন, প্রেরিত, প্রাপ্ত বা সংরক্ষিত তথ্য পাঠোদ্ধার, আটক ও নজরদারি করতে পারে। এটা যদি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য করা হয়ে থাকে তবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যথেষ্ট ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই রয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষকে এর জন্য কেন ফল ভোগ করতে হবে? আপনাদের কী মত?’
এই ঘটনায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে গলা মিলিয়েছেন সারা দেশের মানুষ। তাঁদের মতে, এমন নির্দেশিকার ফলে, ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের ঘটনা আরও বাড়বে। ভারতীয় নাগরিকের সঙ্গে অপরাধীর মতো আচরণ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁদের।
প্রসঙ্গত, ব্যক্তিগত কম্পিউটারেও নজরদারি চালানোর এই নির্দেশিকা জারি হওয়ার আগে পর্যন্ত মোবাইল কল বা ইমেল-এর মাধ্যমে যে ডেটা বা তথ্য এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেত। তার ওপর নজরদারি চালানোর ক্ষমতা ছিল তদন্তকারী সংস্থাগুলির। কিন্তু এখন থেকে মোবাইল কল বা ই-মেলের পাশাপাশি বিভিন্ন কম্পিউটারের তথ্য খতিয়ে দেখার ক্ষমতা পেল এই সব তদন্তকারী সংস্থা। প্রয়োজনে বাজেয়াপ্ত করা যাবে যে কোনও কম্পিউটার বা যন্ত্র।
মোবাইলে আধার লিঙ্কের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও জেহাদ ঘোষণা করেছিলেন মমতা। এ বার মোবাইল, কম্পিউটারে নজরদারি চালানোর কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও ব্যাপক ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।