রাজ্যের ছোট এবং মাঝারি শিল্প উদ্যোগীদের সুবিধা এবং তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সবসময়ই খেয়াল রাখেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের জন্যে উৎকর্ষ কেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে বুধবার তাঁরই উদ্যোগে বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাথে ইন্দো-জার্মান চেম্বার অফ কমার্সের একটি চুক্তিপত্র সাক্ষরিত হল।
বেঙ্গল চেম্বারের প্রেসিডেন্ট ইন্দ্রজিৎ সেন জানিয়েছেন, ‘বাংলায় এমন উদ্যোগ এই প্রথম। মুখ্যমন্ত্রীর সহায়তায় বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স বাংলার ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি উদ্যোগে নিতে চলেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। মাঝারি উদ্যোগ গুলিতে হবে প্রচুর কর্মসংস্থান।’ প্রযুক্তি দক্ষতা-সহ বিভিন্ন বিষয়ে জার্মান বিশেষজ্ঞরা সাহায্য করবেন বাংলার তরুণ উদ্যোক্তাদের। বুধবার রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি শিল্প এবং বস্ত্র দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় উৎকর্ষ কেন্দ্রের ওয়েবসাইট প্রকাশ করেন। www.msmesupports.com এইখানে লগ ইন করে বিস্তারিত জানতে পারবেন উদ্যোক্তা এবং উদ্যোগে আগ্রহীরা।
একই সঙ্গে হস্তশিল্পেও উন্নয়নের জোয়ার আসতে চলেছে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে। বুধবার ইকো পার্কে রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ এবং বস্ত্র দফতর আয়োজিত হস্তশিল্প মেলা ২০১৮–র উদ্বোধনে এসে অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্য এবং তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের মন্ত্রী ড. অমিত মিত্র জানিয়েছেন ‘হস্তশিল্পে নতুন ধরনের নকশা আনতে সফ্টওয়্যার ব্যবহার করা হবে। তৈরি হবে বিশেষ ডিজাইন সেন্টার। সফ্টওয়্যারে নকশা তৈরি করা হবে। অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ইউনেসকোর রুরাল ক্র্যাফ্ট হাবের সঙ্গে রাজ্য কাজ করছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছিলেন আর্টিজন ক্রেডিট কার্ডের কথা। ১ লক্ষ ২ হাজার কার্ডে রাজ্য দিয়েছে ৪০৬ কোটি টাকা, ব্যাঙ্ক দিয়েছে ৩৪ কোটি টাকা।’ উল্লেখ্য, ৩ হাজার ১৮৭ জন প্রবীণ শিল্পী প্রত্যেক মাসে ১০০০ টাকা পেনশন পাচ্ছেন। মন্ত্রী জানান, এখন ৬ লক্ষ বর্গফুট এলাকা নিয়ে মেলা হচ্ছে, যা আগের তুলনায় অনেক বেশি। জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন প্রোডাক্ট নিয়ে ৫৭৫ জন শিল্পী রয়েছেন। হস্তশিল্পীদের জিনিসপত্র নিয়ে আসার সব খরচই দপ্তর দিচ্ছে। থাকার ব্যবস্থাও রয়েছে। রাজ্য ৬২টি স্টেট ফেয়ার, ১০টা ন্যাশনাল ফেয়ার এবং কিছু আন্তঃরাষ্ট্রীয় মেলাতেও যোগ দিয়েছে। রাজ্যের শিল্পের উন্নয়নের জন্য যে সবরকম ভাবে সরকার সহায়তা করবেন তা আবারও প্রমাণ করলেন বাংলার কাণ্ডারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।