রাজভবনে শপথ নিলেন রাজ্যের ৪ নতুন মন্ত্রী। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ তাঁদের শপথ বাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল কেশ্রীনাথ ত্রিপাঠী। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী-সহ রাজ্য মন্ত্রিসভার অন্যান্য মন্ত্রীরা৷
এদিন নতুন ৪ মন্ত্রীকে দফতরও ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। দমকল দফতরের দায়িত্ব পেলেন বিধানগরের বিধায়ক সুজিত বসু। তিনি যে এই দফতরের দায়িত্ব পেতে পারেন সেই নিয়ে জল্পনা চলছিল। অবশেষে সেটাই সত্যি হল।
শ্রম দফতরের দায়িত্ন দেওয়া হল নির্মল মাজিকে।
বরানগরের বিধায়ক তাপস রায় পেলেন পরিকল্পনা ও পরিষদীয় দফতরের ভার।
চাকদহের বিধায়ক রত্না ঘোষের দায়িত্বে এল মাঝারি, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতর।
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন৷ তাঁর দায়িত্ব আরও বাড়ল এদিনের পর৷ অরূপ রায়ের কাছ থেকে আবাসন দফতরের ভার দেওয়া হল তাঁকে৷
এদিন প্রথমে শপথবাক্য পাঠ করেন বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়৷ স্বাবাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী পদে শপথ নেন তিনি৷ এরপর মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসু৷ তিনিও স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী পদে শপথ নেন৷ প্রতিমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন চাকদহের বিধায়ক রত্না ঘোষ৷ একই পদে শপথ বাক্য পাঠ করেন উলুবেড়িয়ার বিধায়ক নির্মল মাজি৷
প্রসঙ্গত, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পদত্যাগের পর মন্ত্রিসভায় রদবদল ছিল সময়ের অপেক্ষা। শোভনের দায়িত্বে থাকা দমকল ও আবাসন দফতর যথাক্রমে ববি হাকিম ও অরূপ বিশ্বাসকে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু আগে থেকেই গুরুত্বপূর্ণ সব দফতরের ভার ছিল তাঁদের ওপর। তার ওপর কলকাতা পুরসভার মেয়র হিসাবে ববির দায়িত্ব বেড়েছে। তাই দুই মন্ত্রীর ভার কমানোর পাশাপাশি রাজ্য প্রশাসনকে আরও গতিময় ও সুচারু করতেই মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে৷