বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশম পার্টি ও উপেন্দ্র কুশওয়াহার আরএলএসপি। শিবসেনা মোদী-শাহ জুটির তীব্র সমালোচনা শুরু করেছে। আকালি দলও তাল ঠুকছে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। ফুঁসছেন রামবিলাস পাসোয়ানরা। আসন ভাগাভাগি নিয়ে তারা সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে বিজেপিকে। এর মধ্যে পাঁচ রাজ্যের ভোটে ভরাডুবি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নরেন্দ্র মোদীকে সরিয়ে নীতিন গডকরিকে প্রধানমন্ত্রী পদে আনার দাবি উঠল। আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতকে চিঠি লিখে এমনই দাবি করেছেন মহারাষ্ট্রের কৃষক নেতা কিশোর তিওয়ারি ।
এই তিওয়ারি হলেন রাজ্যের সরকারি সংস্থা বসন্তরাও নাইক খেতি স্বাবলম্বন মিশনের চেয়ারম্যান। সঙ্ঘপ্রধানকে তিনি লিখেছেন, ২০১৯-এ ফের বিজেপি সরকার গড়তে হলে নরেন্দ্র মোদীর পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে গডকরিকে সামনে আনতে হবে। মোদী-শাহদের স্বৈরতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দল চালানো নিয়েও অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
মোহন ভাগবত ও সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক ভাইয়াজি সুরেশ যোশিকে লেখা চিঠিতে তিওয়ারি লিখেছেন, নোট বাতিল, জিএসটি, তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মানুষের মধ্যে মোদী সরকার সম্পর্কে খারাপ ধারণা তৈরি হয়েছে। রাজ্যে রাজ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। তিওয়ারির কথায়, ‘মোদী-শাহদের দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা। এখন দেশের মধ্যে ভয়, আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। এই সময়ে গডকরির মতো নেতারই প্রয়োজন। যিনি সবাইকে নিয়ে চলতে পারেন। জোট সরকার চালানোর ক্ষমতা রয়েছে।’
শুধু বিজেপির মধ্যেই নয়, বিরোধীদলের নেতাদের সঙ্গে গডকরির সুসম্পর্ক। আঞ্চলিক দলগুলির সাংসদদের সঙ্গে ভাল যোগাযোগ রয়েছে গডকরির। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০১৯-এ এনডিএ গরিষ্ঠতা না পেলে আঞ্চলিক দলগুলির সমর্থন পেতে নীতিন গডকরিকে কাজে লাগাতে পারে বিজেপি। কেননা, আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে গডকরির সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। তাই এখন থেকেই মোদীকে সরিয়ে গডকরিকে সামনে আনার প্রক্রিয়া শুরু করে দিতে চাইছেন কিশোর তিওয়ারিরা।