আসামে জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর নামে নিম্নমানের রাজনীতি হচ্ছে, এ কথা আগেই জানিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট বলেছিলেন, ‘বিজেপি এনআরসির নামে আসামে বাঙালি খেদাও চালাচ্ছে। নাগরিকপঞ্জী থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষের নাম বাদ দিয়ে নিম্নমানের রাজনীতি করা হচ্ছে।’ দূরদর্শী মমতার এই অভিযোগ যে কতটা সত্যি তা আবারও প্রমাণ হয়ে গেল গতকাল। এনআরসির চূড়ান্ত খসড়ায় নাম থাকলেও, নিশ্চিত থাকার উপায় নেই আসামের বাঙালিদের। মঙ্গলবার আগরতলায় এসে এমনই বার্তা দিলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল।
তিনি জানান, চূড়ান্ত খসড়া তালিকায় বহু বেআইনি অনুপ্রবেশকারীর নাম রয়েছে। বিভিন্ন সংগঠন থেকে সেটা জানতে পেরে আসাম সরকার সুপ্রিম কোর্টে অন্তত ২০ শতাংশ নাম পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছে। রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে দলীয় কর্মসূচি পালনে আগরতলায় এসেছিলেন সর্বানন্দ। ত্রিপুরা রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে সাংবাদিকরা এদিন এনআরসি ইস্যুতে প্রশ্ন তুললে তিনি বুঝিয়ে দেন, এনআরসি নিয়ে বাঙালিদের সামনে আরও ভোগান্তি রয়েছে। এমনকি এনআরসির চূড়ান্ত খসড়া তালিকায় নাম থাকলেও ফের যাচাই করা হতে পারে সেই তথ্য।
বাঙালি খেদাওয়ের অভিযোগ উড়িয়ে দিতে সর্বানন্দর সাফাই, দেশের স্বার্থই তাঁর সরকারের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই বহু অনুপ্রবেশকারীকে শনাক্ত করতে সর্বোচ্চ আদালতের কাছে তাঁরা তালিকাভুক্তদের নাম ফের যাচাই করতেও পাঠাবেন। তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে নাম সংযোজন ও আপত্তি নেওয়ার কাজ। এরপর অন্তত ২০ শতাংশ তালিকাভুক্ত নাম ফের যাচাই করা হবে। সর্বানন্দ যতই অনুপ্রবেশকারীদের তথ্য খাড়া করুন না কেন, আসামে যে এনআরসির নামে আসলে বাঙালি খেদাও-ই চলছে তা বুঝতে বাকি নেই কারও।