তিন রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দলের নেতাদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের দিনই বড় ধাক্কা কংগ্রেস শিবিরে। ৩৪ বছর পর ১৯৮৪ সালের শিখ দাঙ্গায় দোষী সাব্যস্ত কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমার৷ তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে৷ আজ সোমবার নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করে ওই কংগ্রেস নেতাকে দোষী সাব্যস্ত করে দিল্লি হাইকোর্ট৷ চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে হবে সজ্জনকে।
১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পর রাজধানী জুড়ে শিখ বিরোধী হিংসা শুরু হয়ে যায়। তাতে মৃত্য হয় প্রায় তিন হাজার শিখ ধর্মালম্বী মানুষের। এক শিখ পরিবারের পাঁচজনকে হত্যা করার অভিযোগ ছিল সজ্জনের বিরুদ্ধে। ওই মামলায় সম্প্রতি নির্দোষ বলে ঘোষণা করা হয় সজ্জনকে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয় দিল্লি হাইকোর্টে। আজ সোমবার নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করে কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমারকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় দেন বিচারপতি এস মুরলীধর ও বিচারপতি বিনোদ গোয়েলের ডিভিশন বেঞ্চ৷
মামলা চলাকালীন গত মার্চ মাসে দিল্লি হাইকোর্টে একটি সিডি জমা পড়ে। সেখানে এক ভিডিওতে দেখা যায় দাঙ্গায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নিচ্ছেন সজ্জন কুমার। গত ১৪ নভেম্বর শিখ বিরোধী দাঙ্গায় দোষী সাব্যস্ত যশপাল সিং নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ড দেয় আদালত। দক্ষিণ দিল্লিতে ২ জন শিখকে খুনের অভিযোগ ছিল যশপাল সিংয়ের বিরুদ্ধে। নরেশ কুমার নামে আরও এক দোষী সাব্যস্তের যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়।
উল্লেখ্য, সরকারি হিসেবে ১৯৮৪ সালে শিখ বিরোধী ওই হিংসায় দেশজুড়ে ২৮০০ শিখের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে দিল্লিতেই খুন হন ২১০০ জন।