ফের সেরার শিরোপা উঠল বাংলার মুকুটে। স্কচ গ্রুপের বিচারে সেরা মুখ্যমন্ত্রী হলেন বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উন্নয়ন এবং প্রশাসনিক দক্ষতার নিরিখে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে সেরা হিসাবে নির্বাচিত করেছে স্কচ গ্রুপ। পাশাপাশি গতিধারা এবং পথদিশা প্রকল্প দুটিও জিতে নিয়েছে ভারত সেরার শিরোপা।
এই বিষয়ে পরিবহন দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘গতিধারা জাতীয় স্বর্ন পুরষ্কার জিতেছে। সম্ভবত এই প্রকল্পটি পরিবহন ক্ষেত্রে দেশের একমাত্র স্বর্ন পুরষ্কার’। ২০১৪ সালে শুরু হয় গতিধারা প্রকল্প। রাজ্যের ১০,০০০ বেকার যুবককে এই প্রকল্পের আওতায় স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। দেওয়া হচ্ছে ব্যাঙ্ক ঋণও। সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে গেছে গতিধারা প্রকল্প। এখনও পর্যন্ত ২২ থেকে ৪৫ বছরের ১০, ৫৫৩ জন যুবক এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত হয়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
পথদিশা একটি মোবাইল অ্যাপ। ডব্লিউবিটিসি-র যাবতীয় বাসের রুট, অবস্থান, সিট সংখ্যা এমনকি ভিড় আছে কিনা তাও জানিয়ে দেয় এই অ্যাপ। চালু হবার পর থেকেই জনসাধারণের মধ্যে দারুন জনপ্রিয় হয়েছে এই অ্যাপটি।
আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক দক্ষতা নিয়ে সন্দেহের কোনও জায়গা নেই। মুখ্যমন্ত্রীর সাধের প্রকল্প ‘কন্যাশ্রী’ বিশ্বজয় করে ফিরেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চ থেকে। ১০০ দিনের কাজে শ্রমদিবস সৃষ্টি ও মোট টাকা খরচে কেন্দ্রীয় সরকারের সেরার শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছে বাংলা। রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা, গৃহ নির্মাণে, সংখ্যালঘু ছাত্র-ছাত্রীদের স্কলারশিপ এবং সংখ্যালঘু ঋণ প্রদানেও এগিয়ে বাংলা। কৃষিতে পরপর ৫ বার কৃষি-কর্মণ পুরস্কার জিতেছে মমতার নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার। গ্রামীণ বিদ্যুতায়নের জন্য ‘আইপিপিএআই’ প্রদত্ত পুরস্কারও এসেছে বাংলার ঝুলিতেই। শ্রম ক্ষেত্রে জিতেছে ‘স্কচ স্মার্ট গভর্নেন্স অ্যাওয়ার্ড। প্রজাতন্ত্র দিবস কুচকাওয়াজে ‘ছৌ নৃত্য’ ও ‘বাংলার বাউল’ ট্যাবলোর ঘটেছে প্রথম স্থান প্রাপ্তি।
অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প, পরিবহন, সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেকে মেলে ধরেছে বাংলা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশাসক হিসাবে সেরার তাজ তাই উঠেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথায়।
প্রসঙ্গত, আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন প্রকল্প যা সমাজের উন্নতিতে কাজে লাগে এমন প্রকল্পকে প্রচারের আলোয় আনতে কাজ করে স্কচ ফাউন্ডেশনের একাংশ। তারাই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে দিল দেশের সেরা মুখ্যমন্ত্রীর সম্মান।