আইনশৃঙ্খলা,সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট-সহ একাধিক কারণে বিজেপির রথযাত্রায় অনুমতি মেলেনি। রাজ্যের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে ফের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে গেরুয়া শিবির। আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রথযাত্রা নিয়ে মামলার শুনানি হবে।
এইসব নিয়ে দিল্লীতে বিজেপির শীর্ষ নেতারা বৈঠকেও বসছেন। রথযাত্রার পাশাপাশি রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হবে সেখানে। সেই বৈঠকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষেরও উপস্থিত থাকার কথা।
কিন্তু রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, গেরুয়া শিবির বারবার কোর্টের কড়া নাড়ছে কেন? সাংগঠনিক দূর্বলতা ঢাকতেই কি বারবার আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে বিজেপি? উঠছে এই প্রশ্নও। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, ‘ওদের সঙ্গে জনগণ নেই। রাস্তায় নেমে সংগ্রাম করার ক্ষমতাও ওদের নেই। তাই যে কোনও বিষয়কেই ওরা আদালতে টেনে নিয়ে যাচ্ছে’।
রথকে গাড্ডা থেকে তুলতে একদিকে আইনি পথে অন্যদিকে আইন অমান্যের পথেও হাঁটছে বিজেপি। এখন প্রশ্ন, আইন অমান্যের মতো বিক্ষোভ কর্মসূচীকে অস্ত্র করে তৃণমূলকে চাপে ফেলার মতো সাংগঠনিক জোর বিজেপির আছে তো? আবার আইন অমান্য নিয়ে নতুন করে ঝামেলার সূত্রপাত হলে রথযাত্রা নিয়ে আরও বিপাকে পড়তে পারে বিজেপি।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রথযাত্রা নিয়ে আদালতে সুবিধা করতে না পেরেই আইন অমান্য কর্মসূচী নিয়েছে বিজেপি। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি আইনের কাছ থেকে ‘ইতিবাচক’ রায় না পাওয়ার আগাম আশঙ্কায় ভুগছে গেরুয়া শিবির? তাই এই আইন অমান্য কর্মসূচী। সব মিলিয়ে দূর্বল সংগঠন, দিশাহীন কর্মসূচীর জন্যই বারবার আদালতের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে বিজেপিকে।