পদ্ম তো ফোটেইনি, উল্টে ৫ রাজ্যে ভয়াবহ ভরাডুবির ফলে মুখ পুড়েছে দলের। তাই বিজেপির মন্ত্রী থেকে শুরু করে সকল সাংসদরাই চেয়েছিলেন মোদীর ‘ভোকাল টনিক’ শুনে নব উদ্যমে সংগঠনের কাজ শুরু করতে। কিন্তু ‘টনিক’ তো দূরের কথা, বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে মোদীর ‘ভোকাল’-এ সেই পুরনো ঝাঁঝটুকুই পেলেন না দলীয় সহকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার সংসদের লাইব্রেরি বিল্ডিংয়ে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হয় বিজেপি সংসদীয় দলের বৈঠক। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মোদী, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদবানি-সহ বিজেপির মন্ত্রী ও সাংসদরা। ৩ রাজ্যে ক্ষমতা হারানোর পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলবেন, তা শোনার জন্য প্রথম থেকেই উৎসুক হয়ে অপেক্ষা করছিলেন বিজেপি সাংসদ-মন্ত্রীরা। সকাল সকাল বৈঠকে যোগ দিতে এলেনও মোদী। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে দলের ভরাডুবি নিয়ে কোনও বাক্যব্যয়ই করলেন না তিনি। দিলেন না, এই ভোট বিপর্যয় মোকাবিলায় কোন রোডম্যাপও। এতেই আরও স্পষ্ট হয়ে উঠল, সেমিফাইনালে এমন গো-হারা হারের স্মৃতি কিছুতেই মন থেকে মুছতে পারছেন না তিনি। সামলে উঠতে পারছেন না এই আকস্মিক বিপর্যয়ের ধাক্কা।
তবে শুধু দলের ‘মুখ’-ই নয়। দলনেতার মতো একই হাল গোটা দলেরই। লোকসভা নির্বাচনের আগেই দলের এমন বিপর্যয়ে স্বাভাবিকভাবেই হতাশ কর্মী-সমর্থকরা। এই অবস্থায় মোদী কিছু আশার কথা বলবেন, পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য হাতে কী কী অস্ত্র আছে তার ব্যাখ্যা দেবেন, এটাই ছিল বিজেপি সাংসদদের প্রত্যাশা। কিন্তু মোদীর অদ্ভূত নীরবতায় সাংসদ-মন্ত্রীরা কার্যত হতাশ। সেমিফাইনালের হার ভুলে চাঙ্গা হওয়ার পরিবর্তে তাঁরা এখন আরও মুষড়ে পড়েছেন।