এবার ঋণখেলাপি বিজয় মালিয়ার হয়ে সওয়াল করলেন দেশের পরিবহন মন্ত্রী তথা মোদী সরকারের অন্যতম মুখ নীতিন গডকরী। রীতিমতো পলাতক ব্যবসায়ী মালিয়াকে সমর্থনে করে গডকরি বলেন, ‘একটা ঋণ খেলাপের জন্য মালিয়াকে প্রতারক বলা অনুচিত’।
একটি সভায় নীতিন গডকরি বলেন, ‘৪০ বছর ধরে মালিয়া নিয়মিত ঋণের টাকা শোধ করছিলেন। কিন্তু অসামরিক বিমান পরিবহন বিভাগে ব্যবসা চালু করতেই তিনি সমস্যার মুখোমুখি হন। তারপরই হঠাৎ কিনা তিনি হয়ে গেলেন চোর? ৪০ বছর ধরে যিনি ঋণ শোধ করে এসেছেন, তিনি যদি একবার ভুল করেন তাহলে হঠাৎ করে তিনি জালিয়াত হয়ে যাবেন? এই ভাবনা ঠিক নয়’।
নীতিন গডকরীর এমন মন্তব্যে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে দেশে। প্রশ্ন উঠছে, মোদীর মন্ত্রীসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে একজন ঋণখেলাপি পলাতক ব্যবসায়ীর হয়ে কীভাবে সওয়াল করতে পারেন দেশের মন্ত্রী? নীতিনের এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। গোটা বিষয়ে ফের নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত, ফেরার শিল্পপতির বিরুদ্ধে প্রায় ৯০০০ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে বহুবার নীতিন গড়কড়ির সঙ্গে বিজয় মালিয়ার ব্যবসায়িক যোগাযোগের প্রসঙ্গ ওঠে। যদিও সেই সমস্ত দাবি নস্যাৎ করেন এই বিজেপি নেতা। নীতিন গড়কড়ির কথায়, ‘যদি নীরব মোদী আর বিজয় মালিয়া আর্থিক জালিয়াতি করে থাকেন , তাহলে তাঁদের জেলে পাঠান। তবে আমরা যদি তাঁদের জালিয়াত বলে চিহ্নিত করে থাকি, তাহলে তা ভারতীয় অর্থনীতির পক্ষে ঠিক হবে না’।
প্রসঙ্গত, মালিয়াকে ভারতে প্রত্যর্পণের মঞ্জুরি দিয়েছে ব্রিটেনের আদালত। তাদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায় সিবিআই। বিজেপি নেতৃত্বও মালিয়াকে দেশে ফেরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ঠিক সেই সময়েই উল্টো সুরে গাইলেন গডকরী।