সাধারণ মানুষের সুরক্ষা এবং সমাজের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব থাকে পুলিশেরই ওপর। তার সাথে থানার কাজগুলিও যথাযথ ভাবে হলে তবেই সবদিক সঠিক ভাবে বজায় থাকে। থানার পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, অপরাধ দমন করতে সার্বিক সাফল্য এবং তথ্য পরিষেবা ও কমিউনিটি পরিষেবার নিরিখে সারা দেশের সেরা থানাগুলির মধ্যে ৩ নম্বর স্থান দখল করল পশ্চিমবঙ্গের ফারাক্কা থানা। কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে সারা ভারতের সব থানাকে পর্যালোচনা করে সেরা দশটি থানার তালিকা তৈরি করা হয়
তার মধ্যেই ৩ নম্বর স্থানাধিকারি হয়েছে কলকাতা। রাজনীতির ময়দানে বাংলার সরকারের উন্নয়ন কার্যত চোখেই পড়ে না বা বলা চলে চোখে পড়তে দিতে চায় না বিজেপি। এই সাফল্যের পর সেই বাংলাকেই সম্মানিত করতে চলেছে কেন্দ্র। আগামী ২০ ডিসেম্বর গুজরাটে এক অনুষ্ঠানে ফারাক্কা থানার আইসি উদয়শঙ্কর ঘোষের হাতে সম্মান তুলে দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং।
এই স্থানলাভ প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার শ্রী মুকেশ বলেন, ‘জনগণের পরিষেবাই আমাদের পেশায় বড় কথা। আমরা সবসময়েই চেষ্টা করি সবরকম বিপদে মানুষের পাশে থাকার, তাদের সহায়তা করার। আজ আমাদের জেলার ফরাক্কা থানা দেশের সেরা দশটি থানার বাছাই পর্বে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে বলে জানানো হয়েছে। লিখিতভাবে কাগজ হাতে পাওয়ার পর ফারাক্কার আইসি উদয়শঙ্কর ঘোষ গুজরাট যাবেন পুরস্কার আনতে।’ দেশের মধ্যে তৃতীয় স্থান অধিকার করায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দারাও।
সারা ভারতের সব থানাকে পর্যালোচনা করে সেরা দশটি থানার তালিকা তৈরি করা হয়। পর্যালোচনার বিষয় ছিল— জনসাধারণের সঙ্গে পুলিশের জনসংযোগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমন, অপরাধী ধরতে দক্ষতা, থানার পরিকাঠামো উন্নয়ন, সৌন্দার্যন, জনগণের কাছে পুলিসের গ্রহণযোগ্যতা, সুশৃঙ্খলভাবে থানার রেকর্ড নথিভুক্ত রাখা। এছাড়াও ছিল পুলিশের পরিষেবা–সহ বিভিন্ন দিক। চূড়ান্ত বাছাই পর্বে পশ্চিমবঙ্গের দুটি থানা—হুগলির জাঙ্গিপাড়া ও মুর্শিদাবাদের ফারাক্কা উঠে আসে। দেশের সেরা দশটি থানার বাছাই পর্বে ফরাক্কা থানা তৃতীয় সেরা থানা হিসাবে স্বীকৃতি পায়। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে গ্রেটব্রিটেনের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট পুরস্কার স্বরূপ আইএসও থানার অন্তর্গত হয় ফারাক্কা থানা।