ভরসন্ধ্যায় তৃণমূল বিধায়কের গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালাল দুষ্কৃতীরা। অল্পের জন্য তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস প্রাণে বাঁচলেও চালক-সহ আরও দুই তৃণমূল নেতার ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে।
নিহত সইফুদ্দিন খান ও সেলিম খান তৃণমূলে জয়হিন্দ বাহিনীর সদস্য। নিহত গাড়ি চালকও তৃণমূলের সমর্থক ছিলেন বলে জানা গেছে। তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের দাবি, তাঁকে হামলা করতেই এসেছিল দুষ্কৃতীরা। তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তীও ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র আছে বলে অভিযোগ করেছেন।
বিশ্বনাথবাবু নিজেই বলেন যে, প্রতি দিনই তিনি ওই দলীয় কার্যালয়ে যেতেন। সেখানে পৌঁছে ওই পেট্রোল পাম্পের উল্টো দিকেই একটি চায়ের দোকানে চা খান। সেখানে স্থানীয়দের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। এ দিন সন্ধ্যায় বহরুতে দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছনোর পর তিনি সোজা কার্যালয়ের ভিতরে ঢুকে যান। অন্য দিনের মতো চায়ের দোকানে যাননি। ততক্ষণে দলীয় কার্যালয় থেকে কয়েকশো মিটার দূরে পেট্রোল পাম্পে বিধায়কের গাড়ি নিয়ে তেল ভরতে যান গাড়ির চালক। সেই সময় পেট্রোল পাম্পে বসেই আড্ডা দিচ্ছিলেন সইফুদ্দিন খান ও সেলিম খান নামে তৃণমূলের জয়হিন্দ বাহিনীর দুই সদস্য। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, সেই সময়েই মোটর বাইকে এসে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। এলোপাথাড়ি বোমা, গুলি ছুঁড়তে থাকে। বোমাবাজি করে এলাকা থেকে চম্পট দেয়। দুষ্কৃতীরা জয়নগরের মন্দিরবাজারের দিকে পালিয়ে যায় বলে খবর।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান জেলা পুলিশ সুপার-সহ শীর্ষ পুলিশকর্তারা। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই পেট্রোল পাম্প থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই ফুটেজে গোটা ঘটনা ধরা পড়েছে। ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘সিপিএমের আমল থেকে দুর্বৃত্তদের অত্যাচার শুরু হয়েছিল। সেই দুর্বৃত্তদের অত্যাচারের শিকার আমাদের কর্মীরা। যারাই করুক তারা দুষ্কৃতী। আমরা অবিলম্বে আততায়ীদের গ্রেফতারের দাবি করছি।’