দলত্যাগের হিড়িক পড়ে গেছে এ রাজ্যের বিজেপির নেতা-কর্মীদের মধ্যেও। বাদ যায়নি পুরুলিয়াও। সেখানেও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যােগদানের পালা প্রায় প্রতিনিয়তই চলছে। এবার পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর বিধানসভার বেড়ো গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির জয়ী সদস্য রবিলাল মান্ডি ও তার সঙ্গে প্রায় তিনশাে পরিবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যােগ দেন। তাদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দিলেন রম্বনাথপুরের বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে পুরুলিয়ায় বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস থেকে বহু নেতা-কর্মী জয়ী হলেও মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের কাজে সামিল হতে তৃণমূলে যােগ দিচ্ছেন তাঁরা। এ কথা স্বীকার করে নিলেন সদ্য তৃণমূলে যােগ দেওয়ে বিজেপির জয়ী সদস্য রবিলাল মান্ডিও। তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছি, বিজেপিতে থেকে মানুষের উন্নয়ন করা যাবে না। তাই তৃণমূলে যোগদান করলাম।’ রঘুনাথপুরের বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরিও বলেন, ‘তৃণমূলের উন্নয়নে সামিল হতেই বিজেপির জয়ী সদস্যরা তৃণমূলে যোগ দিলেন।’
অন্যদিকে, ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রেও বিজেপির ভাঙন অব্যাহত। দলের নেতৃত্বের ওপর আস্থা হারিয়ে দল ছাড়ছেন বলে জানিয়েছেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। গত কয়েক দিনে প্রায় দুশাে দলীয় কর্মী সমর্থককে নিয়ে দল ছাড়লেন সেখানকার ৩ বিজেপি নেতা। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগ দিলেন ডায়মন্ড হারবার ২ নম্বর ব্লকের বিজেপির যুব মোর্চার মণ্ডল সভাপতি পিনাকী মুখোপাধ্যায়, মন্ডল কমিটির সম্পাদক দেবব্রত প্রামাণিক ও অঞ্চল সভাপতি মৃণালকান্তি মন্ডল। দলীয় সভায় পিনাকীর হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন ডায়মন্ড হারবার ২ নম্বর ব্লকের যুব সভাপতি মাহাবুবার রহমান গায়েন।
গোটা বাংলা জুড়েই যে গতিতে বিজেপি নেতা-কর্মীরা দলত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন, তাতে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে যে শীঘ্রই ফাঁকা হতে চলেছে পদ্মদীঘি। অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের এই অব্যাহত ভাঙনের ফলে তরান্বিত হচ্ছে রাজ্যের উন্নয়নের ধারা।