সরীসৃপদের জন্যে বেশ কিছু বছর আগেই আলাদা ঘর বানিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এবার নিশাচর প্রাণীদের জন্যেও আলাদা করে ঘর (এনক্লোজার) তৈরির সিদ্ধান্ত নিল চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। শীতের ছুটিতে পর্যটক টানতে এমনই অভিনবত্বের আয়োজন করতে চলেছে তাঁরা।
গত ছয় মাসে বহু পরিবর্তন হয়েছে চিড়িয়াখানায়। নতুন জন্তু জানোয়ার থেকে শুরু করে হাতিদের জন্য করে দেওয়া হয়েছে আলাদা স্নানের জায়গা। নিশাচর প্রাণীদের বাসস্থান নিয়ে জোরকদমে কাজ শুরু হয়ে গেছে। গণ্ডারের ঘরের উলটো দিকেই রয়েছে গ্যাব্রিনাল হাউস। সেটাকেই নিশাচরদের জন্য বাসযোগ্য করে তোলা হবে।” পুরো জায়গাটি লম্বায় ৬০ ফুট। চওড়ায় ৪০ ফুট। ১৭ লক্ষ টাকা খরচ করে এই বিশেষ ঘর বানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন বাড়িতে থাকবে রাতজাগা বাদুড়, প্যাঁচা, হায়নারা। সঙ্গী সজারু আর স্লো লরিস। বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন জানান, ‘‘ যাঁরা চিড়িয়াখানায় আসছেন তাঁরা যাতে সব ধরণের পশুদের দেখতে পান সেটাই আমাদের লক্ষ্য। এতদিন নিশাচর প্রাণীদের ঘর ছিল না, এবার সেই ব্যবস্থা করছি। আশা করছি নতুন বছরেই আমরা এই উপহার দিতে পারব।’’
তবে শুধু নিশাচরদের জন্যই নয়, নতুন বছরে হায়নাদের জন্যেও জায়গা তৈরি হতে চলছে চিড়িয়াখানায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে চিড়িয়াখানায় হায়নাদের দেখা মিলবে না কারণ তাদের এখন অন্য জায়গাতে রাখা হয়েছে, নতুন ঘর তৈরি হলে তাদের ফের নিয়ে আসা হবে।
আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা আশিসকুমার সামন্ত বলেন, “আগে দর্শকদের অনেকে অভিযোগ করতেন বাঘ সিংহদের তাঁরা দেখতে পাচ্ছেন না। বিশেষ করে গরমকালে পশুরা নাকি সবসময়েই ঘরে ঢুকে থাকছে। সময়ের সঙ্গে ধীরে ধীরে চিড়িয়াখানার উন্নতি হয়েছে। সুন্দর খোলামেলা জায়গা তারা এখন ঘুরে বেড়ায়। দর্শকরা দেখে আনন্দ পান।”
জানা গেছে, নিশাচরদের জন্যে নির্মিত হওয়া ওই ঘরের চারদিক থাকবে কাঁচ ঢাকা এবং বিশেষ ভাবে আলো-আঁধারি পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে যাতে প্রাণীদের মনে হয় তারা স্বাভাবিক পরিবেশেই আছে এবং দর্শকদের উপস্থিতি যেন কোনোভাবেই তাদের বিরক্ত না করে।
নতুন সাজে সেজে ওঠার প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে, আর মাত্র কিছুদিন পরেই আরও বেশি পশু নিয়ে দর্শকদের মনোরঞ্জন করতে আসছে কলকাতার অন্যতম আকর্ষণ আলিপুর চিড়িয়াখানা।