দীর্ঘ চাপানউতোর শেষে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন উর্জিত প্যাটেল। আজ সোমবার আরবিআইয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গভর্নর এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত কারণে এই পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন তিনি।
প্রসঙ্গত ২০১৬ সালে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর হওয়ার পর তাঁর সময়কাল আগামী বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহাল ছিল। কিন্তু তার আগেই ইস্তফা দিলেন উর্জিত।
উল্লেখ্য, উর্জিত প্যাটেলের পদত্যাগ নিয়ে বেশি কিছু দিন ধরেই জল্পনা চলছিল। রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাঙ্কগুলির উপর শীর্ষ ব্যাঙ্কের কড়া ঋণনীতির জেরে কেন্দ্রের সঙ্গে প্রকাশ্যে মনমালিন্যে জড়িয়ে পড়ে উর্জিত প্যাটেলের সংস্থা। এক মঞ্চে শীর্ষ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্য্য অভিযোগ করেন, স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে যে ভাবে কেন্দ্র নাক গলাচ্ছে, এর জেরে দেশে আর্থিক বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। এই প্রসঙ্গে তিনি আর্জেন্টিনা সরকারের পদক্ষেপকে উদাহরণ হিসাবে টানেন। বিরলের এই মন্তব্যের পরই কেন্দ্র এবং আরবিআইয়ের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে।
তখন থেকেই উর্জিতের পদত্যাগ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। অবশেষে আজ সোমবার কেন্দ্রকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিলেন তিনি। ইস্তফার পিছনে ব্যক্তিগত কারণ দেখালেও এই সংঘাতকেই মূল কারণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। লোকসভার আগে উর্জিতের সরে যাওয়া সরকারের ভাবমূর্তির জন্য বড় ধাক্কা বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
উর্জিত প্যাটেলের ইস্তফা নিয়ে সাংসদ সুব্রহ্মণ্যন স্বামী বলেন, ‘উর্জিতের ইস্তফা অর্থনীতির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। নতুন সরকার আসা পর্যন্ত তাঁর অপেক্ষা করা উচিত ছিল। এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর উচিত দেশের বৃহত্তর স্বার্থে উর্জিতের সঙ্গে বসে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা’।