সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রভাব পাকিস্তানে কতটা পড়েছে তা সঠিক ভাবে জানা নেই কারও। কিন্তু অন্তর্দেশীয় রাজনীতিতে যে তার প্রভাব ভাল মতোই পড়েছে তা বলাই বাহুল্য। কারণ এখনও গোটা দেশে চলছে তা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা। এবার সেই বিতর্ককে আরও খানিকটা উস্কে দিলেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডিএস হুডা।
কোনও রাখঢাক না রেখে প্রকাশ্যেই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনায় মুখর হলেন দেশের প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট জেনারেল। তাঁর মতে, কেন্দ্র সরকারের তরফে গোটা ঘটনাটিকেই অতিরঞ্জিত করে দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি, পুরো বিষয়টি নিয়েই রাজনীতি করা হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, হুডার কাঁধেই ছিল ভারতের ওই সার্জিক্যাল স্ট্রাইককে সফল করার দায়িত্ব। উরির সেনা ছাউনিতে হামলার কয়েকদিন পরেই পাকিস্তানে ঢুকে সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা জওয়ানরা। পরে সেই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা প্রকাশ্যে আনা হয়। এই প্রসঙ্গে হুডা বলেন, ‘ওই সময় সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এভাবে বিষয়টিকে অতিরঞ্জিত করা কিংবা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়।’
হুডার এমন মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই বিপাকে পড়েছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। এতদিন বিরোধীরা যে অভিযোগ করে এসেছে, সেই অভিযোগকেই একপ্রকার মান্যতা দিয়েছে ভারতের প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট জেনারেলের এমন মন্তব্য। ফলে ভোটের আগে কেন্দ্রকে কোণঠাসা করতে এই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ইস্যুকে আবারও হাতিয়ার করতে পারে বিরোধীরা। এবং তা যে যথেষ্ট মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে মোদী সরকারের তা বলাই বাহুল্য।