যে মেঘ গর্জায়, সে মেঘ বর্ষায় না। বিজেপির ক্ষেত্রে সেটাই ফলে গেল। রথযাত্রার অনুমতি দেয়নি হাইকোর্ট। তারপরেও কোচবিহারের ঝিনাইডাঙায় সভা হবেই বলে লম্বা চওড়া হুঙ্কার দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ অন্যান্য নেতারা। কিন্তু তর্জন, গর্জনই সার হল। সভা জমল না। না এলেন নেতা-নেত্রীরা, না হল ভিড়। যা হল সেটা পর্বতের মূষিকপ্রসবই বলা যায়।
ভিড়ের চেহারা দেখে সকালেই স্পষ্ট হয়ে যায়, বিজেপির সভা জমবে না। হয়তো সেই বার্তা পেয়েই দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ আসব বলেও এলেন না। ৩ দিন আগে থেকে কোচবিহারে উপস্থিত থাকলেও সভাস্থল মাড়ালেন না কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুক রায়, রূপা গাঙ্গুলিরা। অথচ লাগাতার মাইকে ঘোষণা হচ্ছিল, কৈলাস, মুকুল, রাহুল সিনহারা উপস্থিত থেকে বক্তব্য পেশ করবেন। নাম কা ওয়াস্তে সভায় এসে এদিক-অদিক ঘুরে চলে গেলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাহুল সিনহা।
সভায় এসে নেতা-নেত্রীদের দেখতে না পেয়ে কার্যত ক্ষোভে ফুঁসলেন কর্মী-সমর্থকেরা। অমিত শাহ আসছেন না, এই খবর ছড়িয়ে যাওয়ার পরেই সভার মেজাজে ধাক্কা লাগে। আর লাগাতার মাইকে ঘোষণার পরেও অন্যান্য নেতা-নেত্রীরাও উপস্থিত না থাকায় দর্শকদের মধ্যেই গুঞ্জন ওঠে। অনেকে তো বলেই ফেললেন, ‘নেতাদের কেউই তো এলেন না। অথচ বড়বড় হুঙ্কার দিয়ে চলেছেন।আমাদের এভাবে ডেকে এনে কার্যত ঠকানো হল’।
শেষ পর্যন্ত সমর্থকদের ক্ষোভ মেটাতে নির্ধারিত সময়ের ঘণ্টা দেড়েক পরে হাজির হয়ে নেতা-নেত্রীদের অনুপস্থিতির সাফাই দিয়ে বলেন, ‘আদালতকে সম্মান জানিয়ে বড় নেতারা কেউ আসেন নি। আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাতে এসেছি’। সভা শেষে দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা কোনও সভা নয়। মানুষ এসেছেন। তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছি’।