রথযাত্রার অনুমতি দেয়নি হাইকোর্ট। তারপরেই গরমাগরম বক্তৃতা দিয়ে উত্তেজনা ছড়াতে নেমে পড়েছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। সাংবাদিক সম্মেলন করে বাংলা সম্পর্কে বহু তথ্য তুলে ধরেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। কিন্তু তৃণমূলের তরফে অভিযোগ, শাহের দেওয়া বেশীরভাগ তথ্যই আজগুবি এবং ভ্রান্ত। তারওপর বেশ কিছু তথ্য ও পরিসংখ্যান অমিত শাহ ব্যবহার করেছেন যা বেশ কয়েকবছরের পুরনো। ফলে এই সময়ের প্রেক্ষিতে অমিত শাহের বক্তব্য মূল্যহীন।
হাইকোর্ট রথযাত্রার অনুমতি না দেওয়ায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ সব দোষ চাপিয়েছেন তৃণমূলের ঘাড়েই। তাঁর দাবি, বাংলায় গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। প্রতিদিন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ চলছে। শাহের অভিযোগ, রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দের বাংলা এখন বোমার কারখানা। তাই বোমার শব্দে নাকি ঢাকা পড়ে যাচ্ছে রবীন্দ্রসঙ্গীত। অর্থাৎ শাহের দাবি আনুয়ায়ী, বাংলায় বোমাবাজি এবং সঙ্গীত একইসঙ্গে চলছে। এরপরেই ৪ বছরের পুরনো ‘ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো’-র তথ্য টেনে এনে শাহ বলেন, ‘বাংলায় অপরাধের হার বিহার ও উত্তরপ্রদেশের থেকেও বেশি’। উল্লেখ্য এটা ২০১৪ সালের হিসাব। তার পরের কথা আর উল্লেখ করেননি বিজেপি সভাপতি।
শাহের দাবি, রাজনৈতিক হিংসায় বাংলা প্রথম। নারী পাচারে প্রথম। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, অমিত শাহ ভুলে গেছেন, তাঁরই সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পেশ করা রিপোর্টে নারী ও শিশু পাচারে প্রথম স্থানে আছে দিল্লী। আর এটা কোনও পুরনো নয় চলতি বছরের পেশ করা সরকারি রিপোর্ট। এদিকে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় অভিযোগ করে বলেন, বাংলা থেকেই সবচেয়ে বেশী জাল নোট উদ্ধার হয়েছে। যদিও কোথা থেকে এই তথ্য তিনি পেয়েছেন তা জানান নি।