বুলন্দশহর এখনও জ্বলছে ক্ষোভের আগুনে৷ গো-রক্ষকদের হাতে ইনস্পেকটর সুবোধকুমার সিং এবং স্থানীয় যুবক সুমিতকুমারের হত্যা হওয়ার চারদিন পরেও বজরং নেতা যোগেশ রাজ এখনও অধরা৷ কিন্তু এমন মর্মান্তিক ঘটনার পরেও মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চাইতেও, সেদিন গো-হত্যা কারা করেছিল তাতেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন উত্তরপ্রদেশের আইজি এমনকী স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ যোগীও! গো-রাজনীতি করতে গিয়ে মানুষের থেকেও গো-হত্যাই তাঁর কাছে বেশী প্রাধান্য পাচ্ছে৷ আর এই নিয়েই শিবসেনার তীব্র সমালোচনার মুখে পড়লেন যোগী৷
বৃহস্পতিবার শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনা’য় লেখা হয়েছে, নিজের রাজ্যের ন্যূনতম বিষয়ে সমাধান করেন না যোগী৷ শহরের নাম বদল নিয়ে এতটা মশগুল তিনি যে শহরে কোথায় কী ঘটছে সেদিকে গুরুত্ব দেওয়ার সময় পান না৷ তাই এমন হিংসাত্মক ঘটনার পরেও নির্বিকার রয়েছেন যোগী৷ সেই সঙ্গে শিবসেনা আরো জানিয়েছে পুলিশকর্মীদের যেমন কোনও ধর্ম নেই তেমনই ক্ষমতা যাঁরা কুক্ষিগত করে রেখেছেন, তাঁদের সবদিকে মনোযোগ দেওয়া উচিৎ৷ তা না করে কেবল গো-রক্ষকদেরই প্রশ্রয় দিয়ে চলেছেন তিনি৷ যোগীর শাসনে রাজ্যে গো-রক্ষার নামে যে দাঙ্গা চলছে তার তীব্র নিন্দা করেছে শিবসেনা৷
যোগীর বিরুদ্ধে ওঠা ‘গো-রাজনীতি’র কিংবা নাম বদলেই ব্যস্ত থাকার অভিযোগ একবর্ণও মিথ্যা নয় কারণ যখন গোমাংস নিয়ে বিক্ষোভের জেরে বুলন্দশহরে গোরক্ষকদের হাতে প্রাণ গিয়েছে এক পুলিস অফিসারের ঠিক তখনই তেলেঙ্গানায় ভোট প্রচারে গিয়ে যোগী বলেছেন, হায়দরাবাদের নাম ভাগ্যনগর করতে হলে বিজেপিকে ভোট দিন। যদিও এমন ভাবে সমালোচিত হয়ে যোগী নেমে পড়েছেন নিজের ভাবমূর্তি কলঙ্কহীন রাখতে৷ নিহত ইনস্পেকটরের পরিবারের সাথে দেখা করে আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি৷ তবে এটিও যে ভোটের আবহে শুধুমাত্র ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ করার চেষ্টা তা বুঝতে কারোর বাকি নেই৷