১০০ দিনের কাজে শ্রমদিবস তৈরির কেন্দ্রের লক্ষ্যমাত্রা তিন মাস আগেই ছুঁতে চলছে বাংলা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কাজের প্রশংসা করেছে খোদ মোদী সরকার। জানা গেছে, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক ১০০ দিনের কাজে বাংলাকে মডেল করার পরামর্শ দিয়েছে অন্য রাজ্যগুলিকে। ইতিমধ্যে অন্য রাজ্য থেকে পঞ্চায়েত দপ্তরের অফিসাররা বাংলায় এসে কাজের বৈচিত্র্য দেখে গিয়েছেন। কী কী ধরনের কাজ হচ্ছে তার তালিকা এবং কীভাবে করা যায় তার তালিকাও করে নিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। যা অন্যান্য রাজ্যে চালু করবেন বলে রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তরের অফিসারদের জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা।
উল্লেখ্য ৩১ মার্চ পর্যন্ত ১০০ দিনের কাজে শ্রমদিবস তৈরিতে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছিল ২৫ কোটি। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শ্রমদিবস তৈরি হয়েছে ২৩ কোটি ২২ লক্ষ ৮৭ হাজার। এ মাসের মধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা ২৫ কোটি ছুঁয়ে যাবে বলে মনে করছে পঞ্চায়েত দপ্তর। তাই লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ৩১ কোটি করার জন্য কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে আবেদন জানাবে রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তর। গত আর্থিক বছরে গড় কাজের দিন ছিল ৬০। ডিসেম্বর মাসেই তা দাঁড়িয়েছে ৫৯। বর্তমান আর্থিক বছরে গতবারের কাজের দিনকে ছাপিয়ে যাবে বলে মনে করছেন পঞ্চায়েত দপ্তরের কর্তাব্যক্তিরা।
গত আর্থিক বছরে ১০০ দিনের কাজে খরচ হয়েছিল ৭ হাজার কোটি টাকা। উপকৃত হয়েছিল ৫২ লক্ষ পরিবার। বর্তমান আর্থিক বছরে এদিন পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৭ হাজার কোটি টাকা। তার মধ্যে ৬৪০২ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। বাকি টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার। পঞ্চায়েত দপ্তরের কর্তাদের ধারণা, আগামী তিন মাসে আরও টাকা খরচ হবে। গত কয়েক বছরের লক্ষ্যমাত্রাকে ছাপিয়ে যেতে চলেছে বর্তমান বছরের ১০০ দিনের কাজ। এদিন পর্যন্ত ১০০ দিনের কাজে ৪৯ লক্ষ ৫৩ হাজার পরিবার যুক্ত আছে। প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরেই মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট অর্থাৎ ১০০ দিনের কাজে প্রথম স্থানে রয়েছে বাংলা।