শান্তিযাত্রার কাজ শুরু করে দিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তারই প্রস্তুতি হিসাবে আজ বুধবার বোলপুরের ডাকবাংলো মাঠে চার হাজার কীর্তনীয়ার হাতে খোল-খঞ্জনী তুলে দিলেন কেষ্ট। সঙ্গে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে জানিয়ে দিলেন, এটাই আসলে বাঙালিদের উৎসব।
কারা পেলেন এই খোল-খঞ্জনী? যারা দল বেঁধে পালা গান করেন তাঁরা তো পেলেনই। পাশাপাশি শুধু কার্তিক মাসের ভোরে যারা মরশুমি নাম সংকীর্তন করেন তাঁদের হাতেও তুলে দেওয়া হল ৪০০০ খোল ও ৮০০০ খঞ্জনী।
বোলপুরে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ের সামনের মাঠে বাঁধা হয়েছিল বিশাল প্যাণ্ডেল। সেখানেই জমা হয়েছিলেন কীর্তনীয়ারা। বীরভূমের ১৯ টি ব্লকের সঙ্গে বর্ধমানের ৫ টি ব্লকের কীর্তনীয়াদের তালিকা তৈরি করা হয়েছিল আগেই। আজ সেই মতো একে একে নাম ডেকে প্রত্যেকের হাতে তুলে দেওয়া হল খোল-করতাল। পাশাপাশি ছিল মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থাও। ঢালাও লুচি, তরকারি, মিষ্টি।
এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চে তৃণমূলের পক্ষ থেকে পাঁচ বিখ্যাত কীর্তনীয়া সুমন ভট্টাচার্য, অঞ্জন উপাধ্যায়, কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়, পারভিন সুলতানা ও দিব্যেন্দু মণ্ডলকে তাঁদের কীর্তির জন্য বিশেষ সম্মান জানানো হল।
রাজ্য বিজেপি ঘোষণা করেছিল ৫ ডিসেম্বর তারপীঠ থেকে রথযাত্রার সূচনা হবে। জবাবে অনুব্রত মণ্ডল ঘোষণা করেন বীরভূমে ধর্মপ্রাণ মানুষদের মধ্যে খোল-খঞ্জনী বিতরণ করবে তৃণমূল। বিজেপি তাদের অনুষ্ঠান সূচি পরিবর্তন করলেও তৃণমূলের পরিকল্পনা যে বদলায়নি অনুব্রতর আজকের অনুষ্ঠান সেটাই প্রমান করে দিল।
এদিনের অনুষ্ঠানে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভারত সেবাশ্রমের শান্তি মহারাজ, অভিজিৎ সিংহ, কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ প্রমুখ।