‘হাতে কোনও ইস্যু নেই বিজেপির। তাই রামমন্দির নিয়ে হইচই করছে ওরা’। এমন বললেন খোদ বিজেপিরই সাংসদ সাবিত্রী বাই ফুলে। রামমন্দির ইস্যুতে দলীয় নীতির উল্টো পথে হেঁটে বিতর্ক আরও উসকে দিলেন সাবিত্রী। তাঁর এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই ঝড় বয়ে যায় বিজেপিতে। প্রসঙ্গত, বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন।
বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে সাবিত্রী বলেন, ‘দেশে মন্দিরের কোনও প্রয়োজন নেই। মন্দির তৈরি হলে কি বেকার সমস্যা মিটবে? দলিত ও সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর কোনও উন্নতি হবে? মন্দির নির্মাণ হলে লাভ হবে শুধু ব্রাক্ষনদের। জনসংখ্যার বিচারে যারা মাত্র ৩ শতাংশ। মন্দিরে দান করা অর্থ ব্যবহার করে ব্রাক্ষণরাই। মন্দির থেকে লাভ হয় তাঁদেরই। আর ওঁরা আমাদের (দলিত সম্প্রদায়ের মানুষকে) ব্যবহার করে ক্রীতদাসের মত।কিন্তু সংবিধানে দেওয়া অধিকার আমরা ফিরে পেতে চাই’। এখানেই না থেমে সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, ‘আমাদের অধিকার ফিরিয়ে দাও, নয়তো গদি ছাড়ো’।
এর আগেও বিতর্কিত মন্তব্য করে দলকে বিপাকে ফেলেছেন সাবিত্রী। বিজেপি নেতারা কেন দলিতদের বাড়িতে নৈশভোজ করছেন সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। আবার পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ আলি জিন্নাকে ‘একজন মহাপুরুষ’ বলে মন্তব্য করে বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়েছিলেন।
রামমন্দির নিয়ে সাবিত্রীর বক্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি বিজেপির মুখপাত্র চন্দ্রমোহন। শুধু বলেন, ‘মানুষ জানে উনি কী বলছেন’।
শুধু রামমন্দির নিয়েই নয়, ‘হনুমান’কেও দলিত সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বলে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন সাবিত্রী। তাঁর মতে, হনুমান ছিলেন একজন দলিত ও মনুবাদী মানুষের ক্রীতদাস। সাবিত্রীর প্রশ্ন, ‘হনুমান ভক্তি সহকারে শ্রীরামের জন্য এত কাজ করেছেন, তাহলে তাঁকে তো বাঁদর নয়, মানুষ বানানো উচিৎ ছিল।কারণ, তখনও দলিতদের অবহেলা ও বঞ্চনার শিকার হতে হত। আমরা দলিতরা কেন মানুষের মর্যাদা পাবে না’?




